উয়েফা সদর দপ্তরে পুলিশের হানা
২০১৫ সাল থেকেই দুর্নীতি-অনিয়মের কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল হয়ে আছে ফুটবল অঙ্গন। বহিষ্কার করা হয়েছে ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার ও উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনিকে। ফুটবলকে দুর্নীতিমুক্ত করার শপথ নিয়ে ফিফার সভাপতির আসনে বসেছেন জিয়ানি ইনফান্তিনো। কিন্তু ফুটবল অঙ্গনের অস্থিরতা সহসা কাটছে না; বরং পরিস্থিতি হয়ে উঠছে আরো ঘোলাটে। পানামা পেপারস ফাঁসের পর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে ফিফার নতুন সভাপতি ইনফান্তিনোর নাম। তদন্তের জন্য গত বুধবার উয়েফার সদর দপ্তরেও হানা দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের পুলিশ।
পানামার একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের এক কোটি ১৫ লাখ নথি ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে বিশ্ব অঙ্গনে। ফিফার সভাপতি ইনফান্তিনোর নামও আছে নথিগুলোর মধ্যে। ইনফান্তিনোর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ।
২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের সম্প্রচারস্বত্ব খুবই অল্প মূল্যে কিনে নিয়েছিল ক্রস ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান। আর তার পরেই এটা তারা অন্য আরেক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেচে দিয়েছিল প্রায় তিন গুণ বেশি দামে। সে সময় ইনফান্তিনো ছিলেন ইউরোপের ফুটবল সংস্থা, উয়েফার ডিরেক্টর। তাঁর সম্মতিতেই কেনাবেচা হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের সম্প্রচারস্বত্ব। ইনফান্তিনো কোনো ধরনের অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করলেও রেহাই পাচ্ছেন না তদন্তের হাত থেকে।
২০০৬ সালের সেই সম্প্রচার চুক্তির ব্যাপারে অনুসন্ধানের জন্য উয়েফার সদর দপ্তরেও হানা দিয়েছে সুইস পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতিও দিয়েছে উয়েফা। তদন্তের জন্য পুলিশকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে উয়েফার পক্ষ থেকে।