অবশেষে একটা ‘কাজ’ খুঁজে পেলেন জোসে মরিনিয়ো। গত ডিসেম্বরে চেলসির কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর থেকেই তিনি ‘বেকার’। মরিনিয়োর জন্য সুখবর, আগামী জুনে একটি বিশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড দলের কোচের দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধে। যেখানে এই পর্তুগিজ কোচের প্রতিপক্ষ চেলসির আরেক সাবেক কোচ ক্লদিও রানিয়েরি।

আগামী ৫ জুন ইউনিসেফের তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি চ্যারিটি ম্যাচে অংশ নেবে ইংল্যান্ড ও অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশ। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠেয় এই ম্যাচের জন্য ইংল্যান্ড কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মরিনিয়োকে। আর অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের কোচ রানিয়েরি।

গত মৌসুমে মরিনিয়োর অধীনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেলসি। কিন্তু এবার শুরু থেকে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে-খেতে ক্ষুব্ধ চেলসি কর্তৃপক্ষ মৌসুমের মাঝপথেই বিদায় করে দিয়েছে স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচকে।

সেই থেকে ‘বেকার’ মরিনিয়ো ফুটবল মাঠে ফেরার সুযোগ পেয়ে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। চ্যারিটি ম্যাচটিতে সহকারী হিসেবে সান্ডারল্যান্ডের কোচ স্যাম অ্যালারডাইসকে পেয়েও তিনি দারুণ খুশি। ২০১৪ সালে মরিনিয়োর অধীনে অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশ ৪-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। এবার ইংল্যান্ড কোচ হিসেবে সাফল্যের প্রত্যয় তাঁর কণ্ঠে, ‘আমি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইংল্যান্ড আর অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশ দুই দলের হয়েই সকার এইড ট্রফি জিততে চাই। স্যাম (অ্যালারডাইস) আর আমি মিলে দারুণ একটা জুটি গড়ে তুলতে পারব। ক্লদিওকে (রানিয়েরি) হারাতে পারলে দারুণ লাগবে!’

২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত চেলসির কোচের দায়িত্বে থাকা রানিয়েরির অধীনে এবার চমক দেখিয়ে চলেছে লেস্টার সিটি। অনেক কম বাজেটের দল নিয়েও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের দোরগোড়ায় দলটি। চ্যারিটি ম্যাচটির অন্যতম আয়োজক ব্রিটিশ পপতারকা ও সকার এইডের সহপ্রতিষ্ঠাতা রোবি উইলিয়ামস। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রানিয়েরির মন্তব্য, ‘সকার ইভেন্ট একটা দুর্দান্ত প্রতিযোগিতা। শিশুদের দাতব্য প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফের তহবিল সংগ্রহের চেয়ে মহৎ আর কিছুই হতে পারে না। সকার এইডের দশম বার্ষিকীতে অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের কোচ হতে রোবি ফাউলার অনুরোধ জানিয়েছেন আমাকে। সেজন্য আমি ভীষণ সম্মানিত বোধ করছি।’