ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা কোচ ক্লদিও রানিয়েরি

Looks like you've blocked notifications!

বিশ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ইউরোপের অনেক বড় বড় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ক্লদিও রানিয়েরি। নাপোলি, জুভেন্টাস, আতলেতিকো মাদ্রিদ, ভ্যালেন্সিয়া, চেলসি, ইন্টার মিলান ঘুরে এসেছিলেন ইংল্যান্ডের ছোট্ট ক্লাব লিস্টার সিটিতে। আগে কখনোই বড় কোনো লিগের শিরোপা জিততে না পারলেও লিস্টার সিটিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতিয়ে ফুটবল ইতিহাসে পাকাপাকি জায়গাই করে নিয়েছেন ইতালিয়ান এই কোচ। অবিস্মরণীয় এই সাফল্যের প্রথম স্বীকৃতিটিও পেয়ে গেছেন রানিয়েরি। জিতে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার।

ইংল্যান্ডের বর্ষসেরা কোচের এই পুরস্কার দিয়ে থাকে লিগ ম্যানেজার্স অ্যাসোসিয়েশন (এলএমএ)। আর এ বছর সেরা কোচ নির্বাচন করতে গিয়ে রানিয়েরি ছাড়া অন্য কারো কথা হয়তো ভাবতেও হয়নি তাদের। এবারের মৌসুমের শুরুতে লিস্টার সিটির কোচের দায়িত্ব নিয়ে সত্যিই যেন জাদুকরের মতো ক্লাবটিকে বদলে দিয়েছিলেন রানিয়েরি। দীর্ঘদিন পর ২০১৪ সালে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে প্রথম মৌসুমটা লিস্টার শেষ করেছিল ১৪তম অবস্থান নিয়ে। নিচের সারির সেই দলটিই যে এবার ইংল্যান্ডসেরার মুকুট পরবে, তা কেউ ভাবতেও পারেননি। তবে লিস্টার পাল্লা দিয়ে লড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল, চেলসি, টটেনহাম, লিভারপুলের মতো বড় বড় ক্লাবের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত শিরোপাটাও জিতে নিয়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে থেকে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে লিস্টারের পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ১০।

১৯৯৩ সাল থেকে এই বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার চালু হওয়ার পর বেশির ভাগ সময়ই সেটি জিতেছেন যুক্তরাজ্যের কোচেরা। এ বছর যুক্তরাজ্যের বাইরের দ্বিতীয় কোচ হিসেবে এই পুরস্কার উঠেছে রানিয়েরির হাতে। এর আগে দুবার এ পুরস্কার জিতেছিলেন আর্সেনালের ফরাসি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার, ২০০২ ও ২০১৪ সালে। সবচেয়ে বেশি, চারবার এই বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন।