নিষিদ্ধ হয়েও অলিম্পিকে শারাপোভা!

Looks like you've blocked notifications!

গত মার্চে ড্রাগ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার কথা স্বীকার করে টেনিস-দুনিয়ায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন মারিয়া শারাপোভা। তার পর থেকেই টেনিস অঙ্গনে নিষিদ্ধ এই রুশ-সুন্দরী। তবু রিও অলিম্পিকের দলে তাঁকে রেখেছে রাশিয়ার টেনিস ফেডারেশন।

জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চলার সময় মেলডোনিয়াম নামে একটি নিষিদ্ধ ড্রাগ পাওয়া গিয়েছিল শারাপোভার নমুনায়। তবে ড্রাগটা যে নিষিদ্ধ, তা তিনি জানতেন না। এর পর থেকে অলিম্পিক সাঁতারু ইউলিয়া এফিমোভাসহ রাশিয়ার বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় মেলডোনিয়ামের কারণে পজিটিভ হয়েছেন ড্রাগ পরীক্ষায়।

লাটভিয়ায় তৈরি এই ড্রাগ নিয়ে অবশ্য একটা ‘কিন্তু’ আছে বিশ্ব মাদকবিরোধী সংস্থা ওয়াডার মধ্যে। এ বছরের ১ জানুয়ারি মেলডোনিয়ামকে নিষিদ্ধ করেছিল ওয়াডা। তবে গত মাসে তারা জানিয়েছিল, শরীরে কতক্ষণ ধরে ড্রাগটা কাজ করে, তা এখনো জানা যায়নি।

শুধু শারাপোভা একা নন, মেলডোনিয়াম যে নিষিদ্ধ, তা অনেক খেলোয়াড়ই জানতেন না। ওয়াডার তথ্য অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে প্রায় পৌনে দুইশ খেলোয়াড়ের শরীরে ধরা পড়েছে মেলডোনিয়ামের অস্তিত্ব। এ কারণে এই ড্রাগকে নিষিদ্ধের তালিকায় রাখা হবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ওয়াডা। শারাপোভার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

আর এ কারণেই পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী শারাপোভাকে দলে রেখেছে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা আর-স্পোর্টকে রাশিয়ার টেনিস ফেডারেশন প্রধান শামিল তার্পিশ্চেভ বলেছেন, ‘রোলাঁ গারোতে (ফ্রেঞ্চ ওপেন) প্রথম সপ্তাহ শেষ হওয়ার পরই অলিম্পিকে শারাপোভা অংশ নিতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর জানা উচিত। তাকে আমাদের অলিম্পিক দলে রাখা হয়েছে।’

শারাপোভাসহ র‍্যাংকিংয়ের সেরা চার নারী টেনিস খেলোয়াড়কে রিও অলিম্পিকের দলে রেখেছে রাশিয়া। বাকি তিনজন হলেন স্ভেতলানা কুজনেতসোভা, আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভা ও একাতেরিনা মাকারোভা।