পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশই ফেভারিট : সাকিব

Looks like you've blocked notifications!
সাকিব আল হাসান। ছবি : এএফপি

বিশ্বকাপের উত্তেজনা শেষ। বাংলাদেশ দলের পরবর্তী প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ১৩ এপ্রিল ঢাকায় পা রাখতে যাওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের বিশ্বাস, সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে বাংলাদেশ দলের সাফল্য না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। বিশ্বকাপে তেমন ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে না পারলেও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচ খেলার অনুমতি পাওয়া সাকিব বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে পৌঁছাবেন। ১২ এপ্রিল তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা।

কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীতে নিজের বাসায় কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন সাকিব। সামনে পাকিস্তান সিরিজ হলেও শুরুতেই উঠে এসেছে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টে আপনি কি নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট? এই প্রশ্নে সাকিবের জবাব, ‘আমি হয়তো আমার সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। তবে নিজের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্টও নই।’

বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে দুটি ফিফটিসহ ১৯৬ রান করার পাশাপাশি ৮ উইকেট নেন সাকিব। তাসকিন আহমেদের (৯ উইকেট) পর তিনি বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারী।

অস্ট্রেলিয়ায় রওনা হওয়ার আগে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিলেন। সেই লক্ষ্য পূরণ তো হয়েছেই, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সও ছিল দুর্দান্ত। এই সাফল্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলকে অনুপ্রাণিত করবে বলেই সাকিবের বিশ্বাস, ‘বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে খেলোয়াড়রা দারুণ উজ্জীবিত। পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজে তাই বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখব আমি। নিজেদের মাটিতে খেলব বলে আমাদের আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে থাকবে।’

পাকিস্তানের পর ভারতের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। এরপর আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। এই চার শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ভালো খেলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সাকিবের মন্তব্য, ‘বিশ্বকাপ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সামনের সিরিজগুলোতে আমাদের ভালো করতে হবে। তাহলেই আমাদের ক্রিকেট আরো এগিয়ে যাবে।’

 

২০১৯ বিশ্বকাপ ১০ দল নিয়ে করার পরিকল্পনা করছে আইসিসি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের প্রথম আট দল সরাসরি খেলার সুযোগ পেতে পারে। বাকি দুটো জায়গার জন্য হতে পারে বাছাইপর্ব। তবে সাকিব বাছাইপর্বের অনিশ্চয়তার ফাঁদে পা দিতে রাজি নন, ‘আমাদের ধারাবাহিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আগামী বিশ্বকাপের আগে র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা আট দলের মধ্যে থাকা সম্ভব হবে।’   

২০০৭, ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনটি করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। আগামী বিশ্বকাপে আরো বেশি ম্যাচ জেতার লক্ষ্য ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিবের, ‘এখন পর্যন্ত কোনো বিশ্বকাপেই আমরা তিনটির বেশি ম্যাচ জিততে পারিনি। আগামী বিশ্বকাপে আমাদের চারটি ম্যাচ জেতা উচিত।’

আলাপচারিতায় চলে এসেছে বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনালের ‘বিতর্কিত’ আম্পায়ারিং প্রসঙ্গও। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বেশ সাবধানী, ‘আসলে এটা খেলার অংশ। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা আমার জন্য ঠিক হবে না।’