নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শারাপোভার আপিল
ড্রাগ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মারিয়া শারাপোভা। দুঃসংবাদটা পাওয়ার পর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাশিয়ার টেনিস-সুন্দরী। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিলও করেছেন তিনি।
গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চলার সময় মেলডোনিয়াম নামে একটি ড্রাগ পাওয়া গিয়েছিল শারাপোভার নমুনায়। তার প্রায় মাস দুয়েক পর নিজেই ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। তারপরই তাঁকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে গত সপ্তাহে শারাপোভাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ)। যার অর্থ, ২০১৮ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে বড় কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না তিনি।
শারাপোভা এমন সিদ্ধান্তে ভীষণ ক্ষুব্ধ। তাঁর দাবি, জেনেশুনে নয়, না বুঝেই মেলডোনিয়াম ব্যবহার করতেন তিনি। শাস্তির দুঃসংবাদ পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক পেজে শারাপোভা লিখেছিলেন, ‘যেহেতু ট্রাইব্যুনাল উপসংহারে এসেছে যে আমি ইচ্ছে করে মাদকবিরোধী নিয়ম ভাঙিনি, তাই দুই বছরের অন্যায্য, কর্কশ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি মেনে নিতে পারছি না। আইটিএফ দ্বারা নির্বাচিত ট্রাইব্যুনাল সদস্যরা একমত হয়েছিলেন যে আমি ইচ্ছেকৃতভাবে কোনো ভুল করিনি। তবু তাঁরা আমাকে দুই বছরের জন্য টেনিস থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি শিগগির নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করব।’
শারাপোভা অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করতেই পারেন। বিশ্ব মাদকবিরোধী সংস্থা ওয়াডা এ বছরের ১ জানুয়ারি মেলডোনিয়ামকে নিষিদ্ধ ড্রাগের তালিকাভুক্ত করেছে। অথচ প্রায় ১০ বছর ধরে দেহে ম্যাগনেসিয়ামের স্বল্পতা পূরণ ও হৃদযন্ত্রের চিকিৎসায় মেলডোনিয়াম ব্যবহার করছেন শারাপোভা।