ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী রোনালদো
ইউরো ২০১৬-তে পর্তুগালের ঠিক বিপরীত অবস্থা ক্রোয়েশিয়ার। হোঁচট খেতে খেতে, তিন ম্যাচেই ড্র করে শেষ ষোলোতে উঠেছে পর্তুগাল। অন্যদিকে, গত দুবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রথম নকআউট পর্বে খেলতে নামছে ক্রোয়েশিয়া। তবে শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হলেও আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মনে।
রোনালদোর সৌজন্যেই ইউরোতে রক্ষা পেয়েছে পর্তুগাল। হাঙ্গেরির বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে তিন-তিনবার পিছিয়ে পড়লেও অধিনায়কের দুটি দুর্দান্ত গোলের সুবাদে ড্র করে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে পর্তুগিজরা।
শুধু দলকে রক্ষাই করেননি, একটা রেকর্ডও গড়েছেন রোনালদো। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোর চারটি আসরে গোল করার কৃতিত্ব এখন তাঁরই। আর একটি গোল করলে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা মিশেল প্লাতিনিকেও ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। ফরাসি কিংবদন্তির গোলসংখ্যা ৯টি।
সেসব চিন্তা পরে। আপাতত ক্রোয়েশিয়া জয়ের পরিকল্পনায় মগ্ন রোনালদো। ক্রোয়াটদের নির্দ্বিধায় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে রায় দিলেও জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী রিয়াল মাদ্রিদ তারকা, ‘আমরা পরবর্তী পর্ব নিশ্চিত করেছি। এখন আমাদের ভীষণ ভালো একটা দলের মুখোমুখি হতে হবে। তবে দুদলেরই সম্ভাবনা ৫০-৫০। ক্রোয়েশিয়া খুব কঠিন দল। ওদের দলে বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে। স্পেনকে হারানো সহজ কথা নয়। আমরা ওদের সম্মান করি। তবে আমরাও নিজেদের শক্তি সম্পর্কে ভালোই জানি। আমরা ওদের চোখের দিকে তাকিয়েই লড়াই করব।’
পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস অবশ্য ক্রোয়েশিয়াকে নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কিত। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে তাঁর অভিমত, ‘ক্রোয়েশিয়াকে এড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম আমরা। স্পেনের গ্রুপের থেকেও তারা প্রথম হয়েছে। আর এটাই ওদের সম্পর্কে সবকিছু বলে দিচ্ছে।’