অ্যান্ডি মারের দ্বিতীয় উইম্বলডন জয়

Looks like you've blocked notifications!
উইম্বলডনের ট্রফি হাতে অ্যান্ডি মারে। ছবি : রয়টার্স

অ্যান্ডি মারের ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে বিস্মিত হতে হয়। গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা নতুন কিছু নয় তাঁর জন্য। কিন্তু সাফল্যের হার খুবই কম। এ বছরের প্রথম দুটো গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান আর ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালেও উঠেছিলেন। কিন্তু দুবারই হার মেনেছিলেন নোভাক জোকোভিচের কাছে। উইম্বলডনেও হয়তো তাঁকে নিয়ে শঙ্কায় ছিল অনেক স্বদেশবাসী। তবে বৃটেনের মানুষকে খুশির জোয়ারে ভাসিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো উইম্বলডন জিতে নিয়েছেন মারে। রোববারের ফাইনালে তিনি হারিয়েছেন কানাডার মিলোস রাওনিচকে।

বিখ্যাত সেন্টার কোর্টে লড়াই হয়েছে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা। তবে মারে জিতেছেন সরাসরি সেটে। ম্যাচের ফলাফল ৬-৪, ৭-৬ (৭/৩), ৭-৬ (৭/২)। টেনিস সার্কিটে জোরালো সার্ভিসের জন্য খ্যাত রাওনিচ অনেক চেষ্টা করেছিলেন জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালকে স্মরণীয় করে রাখতে। কিন্তু মারের দুর্দান্ত নৈপুণ্যের সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

৯বার গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠলেও মারের এটা মাত্র তৃতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১২ সালের ইউএস ওপেন আর ২০১৩ সালের উইম্বলডনে শেষ হাসি হেসেছিলেন তিনি। তিন বছর পর আবারো টেনিসের সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পেরে মারে আনন্দে আত্মহারা, ‘এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। এখানে আমার অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত আছে। এখানে বেশ কিছু কঠিন ম্যাচেও হেরেছি। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট আমার জন্য বিশেষ কিছু। আবারো উইম্বলডনের ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে পেরে আমি গর্বিত।’

প্রথম কানাডিয়ান হিসেবে কোনো গ্র্যান্ড স্লামের একক শিরোপা জয়ের আশা পূরণ হয়নি রাওনিচের। তবে খেলা শেষে প্রতিপক্ষের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি তিনি, ‘অ্যান্ডি আজ অসাধারণ খেলেছে। উইম্বলডনের দ্বিতীয় শিরোপা তারই প্রাপ্য।’