আর্জেন্টিনার কাছে ম্যারাডোনার ‘লোভনীয়’ প্রস্তাব!
বিতর্কিত কথা বলে, বিতর্কিত কাজ করে হৈচৈ ফেলে দেওয়া নতুন কিছু নয় তাঁর জন্য। এবার অবশ্য ডিয়েগো ম্যারাডোনা বিতর্কিত কিছু বলেননি। শুধু আরেকবার আর্জেন্টিনার কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাও আবার বিনা পয়সায়!
২০০৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে ছিলেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন ফুটবল-ঈশ্বরের বিদায় মোটেও সুখকর নয়। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হারের লজ্জা নিয়ে ‘চাকরি’ হারিয়েছিলেন তিনি।
পরের বছরই অবশ্য দুবাইয়ের আল ওয়াসল ক্লাবের কোচ হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু বছর খানেক পর, ২০১২ সালের জুলাইয়ে ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে আবার পদচ্যুত হয়েছিলেন। তারপর আর কোচিংয়ের ধারেকাছেও যাননি আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক।
কিন্তু এখন আবার তিনি জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। কোপা আমেরিকা শতবার্ষিকীর ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জেরার্দো মার্তিনো। আর্জেন্টিনার ফুটবলাঙ্গনে গুঞ্জন, মার্তিনোর উত্তরসূরী হিসেবে দেখা যেতে পারে স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ ডিয়েগো সিমিওনেকে।
তবে জাতীয় দলে সাবেক সতীর্থর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে ম্যারাডোনা নিজেই কোচ হতে চাইছেন। দেশের ফুটবল কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাবের সুরে তিনি বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক কারণে ডিয়েগো সিমিওনে এই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নয়। তবে আমার কাছে টাকা কোনো ব্যাপার নয়। আমি বিনা পয়সায় জাতীয় দলের কোচ হতে রাজি।’
তিনি যে তেমন ‘দামি’ কোচ নন, সে কথা জোরের সঙ্গে জানিয়ে ম্যারাডোনার মন্তব্য, ‘অনেক লোকই মনে করে আমি একজন দামি কোচ। তাহলে মরিনিয়ো কী? অথবা আনচেলত্তি বা সিমিওনে? জানি না এই কোচদের সঙ্গে তুলনায় আমি কতটা ব্যয়বহুল।’
ম্যারাডোনার ‘আলবিসেলেস্তে’দের কোচ হতে চাওয়ার আরেকটি কারণ হয়তো নিরুত্তাপ জীবনযাপন। জীবনে রোমাঞ্চের অভাবে তিনি যেন কিছুটা বিরক্ত, ‘আমি কোচিং করানো ভীষণ মিস করছি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ আর সাংবাদিকদের সঙ্গে লড়াইও মিস করছি খুব।’
হ্যাঁ, ম্যারাডোনার জীবনের বিতর্কিত অধ্যায়ের একটা বড় অংশজুড়ে আছে সাংবাদিকদের সঙ্গে গণ্ডগোল। বছর দুয়েক আগে এক সাংবাদিককে চড় মেরেছিলেন তিনি। তারও আগে এয়ারগান দিয়ে গুলি পর্যন্ত করেছিলেন এক সাংবাদিককে!