ফেল্পসকে হারিয়ে স্কুলিং অবাক!

Looks like you've blocked notifications!
২০০৮ সালে সিঙ্গাপুরে ফেল্পসের সঙ্গে ১৩ বছরের কিশোর জোসেফ স্কুলিং। ছবি : সংগৃহীত

আজকের সকালের আগে জোসেফ স্কুলিংয়ের নাম কজন জানত? নিশ্চয়ই খুব বেশি নয়। এতদিন সিঙ্গাপুরের এই তরুণের সেরা কীর্তি ছিল গত বছরের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জপদক জয়। অথচ আজ সর্বকালের সেরা সাঁতারু মাইকেল ফেল্পসকে হারানো স্কুলিংয়ের নাম সবার মুখে মুখে। এমন অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ে স্কুলিং ভীষণ অবাক।

১০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে ফেল্পসই ছিলেন ফেবারিট। গত তিনটি অলিম্পিকে এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার ইতিহাসের সফলতম অলিম্পিয়ানকে শুধু হারিয়েই দেননি, ফেল্পসের গড়া অলিম্পিক রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন স্কুলিং। সিঙ্গাপুরকে অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণ উপহার দেওয়া স্কুলিংয়ের টাইমিং ছিল ৫০.৩৯ সেকেন্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার চাড লে ক্লস ও হাঙ্গেরির লাজলো চেকের সঙ্গে যৌথভাবে রুপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ফেল্পসকে।

ঠিক আট বছর আগে ফেল্পসের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল স্কুলিংয়ের। বেইজিং অলিম্পিকের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ফেল্পস তখন ছিলেন সিঙ্গাপুরে। সেই সময় ফেল্পসকে সামনে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ১৩ বছরের কিশোর স্কুলিং ছবিও তুলেছিলেন সাঁতার কিংবদন্তির সঙ্গে। তখন কে জানত, ওই অখ্যাত কিশোরের কাছে একদিন হার মানতে হবে ফেল্পসকে!

এমন দুর্দান্ত কীর্তি গড়ে স্কুলিং বিস্মিত। ছেলেবেলার নায়ককে অলিম্পিকের সুবিশাল মঞ্চে হারানো যেন বিশ্বাসই হতে চাইছে না তাঁর, ‘আমি উচ্ছ্বসিত। মনেই হচ্ছে না যে আমি এটা করেছি। কেমন যেন পাগল পাগল লাগছে। অলিম্পিক রেকর্ড ভাঙা তো আছেই, মাইকেল ফেল্পসের বিপক্ষে সাঁতরানোর রোমাঞ্চও কম নয় কিন্তু!’

দশ বছরের ছোট স্কুলিংয়ের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স অলিম্পিকে ২৩তম স্বর্ণ জিততে দেয়নি ফেল্পসকে। সে জন্য খানিকটা মন খারাপ হলেও প্রতিপক্ষের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন সাঁতারের জীবন্ত কিংবদন্তি, ‘জো (স্কুলিং) খুব শক্ত প্রতিপক্ষ। গত বছরটা তার দারুণ কেটেছিল। আসলে দুই বছর ধরেই খুব ভালো সময় কাটছে তার।  তাকে আমার টুপিখোলা অভিবাদন। আজ সে অসাধারণ লড়াই করেছে।’

অলিম্পিক স্বর্ণপদকের চেয়ে এমন প্রশংসাবাক্য নিশ্চয়ই কম মূল্যবান নয় স্কুলিংয়ের জন্য।