বোল্টের ‘মিশন পসিবল’

Looks like you've blocked notifications!

জীবনের প্রথম অলিম্পিকের মতো শেষ অলিম্পিকেও শত ভাগ সফল উসাইন বোল্ট। বেইজিং, লন্ডনের পর রিও অলিম্পিকেও স্প্রিন্টের তিনটি স্বর্ণ মুঠোবন্দি করে আজ তিনি ইতিহাসের পাতায়। ‘ট্রিপল ট্রিপল’-এর অনন্য কীর্তি গড়ে জ্যামাইকার গতিদানব উল্লসিত, তৃপ্ত। আর কখনো অলিম্পিকের ট্র্যাকে নামবেন না বলে কিছুটা আবেগাক্রান্তও।

এবারের অলিম্পিকে ১০০ ও ২০০ মিটারের পর আজ ৪X১০০ মিটার রিলের স্বর্ণও জিতে নিয়েছেন বোল্ট। খেলাধুলার সেরা আসরে আজ তিনি নয়টি স্বর্ণপদক বিজয়ী। এই নয়টির মধ্যে থেকে আলাদা করে কোনো একটিকে বেছে নেওয়া অবশ্য সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে, ‘এসব পদক নিয়েই আমার পৃথিবী। নয়টি স্বর্ণপদকই আমার কাছে স্পেশাল। সবই এসেছে সঠিক সময়ে। পৃথিবীর কাছে প্রমাণ করেছি যে আমিই সর্বশ্রেষ্ঠ। তাই বলা যায় মিশন সুসম্পন্ন।’

অলিম্পিকে নয়টি স্বর্ণ তো আছেই। তার সঙ্গে ধরতে হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ১১টি স্বর্ণও। বোল্টের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে তাই সন্দেহের অবকাশ নেই। বিশ্বের দ্রুততম মানবের আশা, তাঁর কীর্তি অটুট থাকবে আজীবন, ‘আশা করি আমি এমন উঁচু মানদণ্ড তৈরি করেছি যা অতিক্রম করা কারো পক্ষে সম্ভব হবে না। প্রত্যেক অলিম্পিকে তিনটি স্বর্ণ জিততে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাকে। অনেক কিছু অর্জন করেছি বলে আমি ভীষণ খুশি। এই অনুভূতির তুলনা হয় না।’

আগামী বছর লন্ডনে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পর অ্যাথলেটিক ট্র্যাককে বিদায় জানাবেন বোল্ট। তাই এটাই তাঁর শেষ অলিম্পিক। আর কখনো ক্রীড়া মহাযজ্ঞে অংশ নেবেন না বলে কিছুটা হলেও তাঁর মনখারাপ, ‘আমি জানি সব কিছুই শেষ হয় একদিন। আমি অবশ্যই দর্শকদের মিস করব, মিস করব এই দুর্দান্ত প্রতিযোগিতাকেও। আসলে আমার মধ্যে এখন মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে। তবে আমার ক্যারিয়ারকে দুর্দান্তই বলতে হবে। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে যা চেয়েছি তার সব কিছুই অর্জন করেছি।’