প্রথম টেস্টে প্রত্যয়ী বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
অনুশীলনে ব্যস্ত বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম (ডানে)। পাশে টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সৌম্য সরকার। ছবি : টুইটার থেকে

বাংলাদেশের ক্রিকেট যে অনেক বদলে গেছে, সেটা প্রতিমুহূর্তেই জানিয়ে দিচ্ছেন তামিম-সাকিব-মুশফিকরা। বিশ্বকাপে নজরকাড়া নৈপুণ্যের পর এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচ ও একমাত্র টি-টোয়েন্টি হেরে পাকিস্তান এখন ভীষণ চাপের মধ্যে। আর টানা চার ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন নিজেদের আরো উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার। পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো টেস্টে হারানোর লক্ষ্যে মঙ্গলবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খেলতে নামছে মুশফিকুর রহিম ও তাঁর দল।

টেস্ট ক্রিকেটে অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে পাকিস্তান। ১৯৫২ সালে প্রথম টেস্ট খেলা পাকিস্তানের পাশে আছে ৩৯২টি ম্যাচ। এর প্রায় অর্ধশতাব্দী পর ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া বাংলাদেশ খুলনায় ৮৮তম টেস্ট নামছে। র‌্যাংকিংয়েও বাংলাদেশের (নবম) চেয়ে অনেক এগিয়ে পাকিস্তান (চতুর্থ)। টেস্ট ক্রিকেটে মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানের তো জয়জয়কার। আটটি ম্যাচের প্রতিটিতেই হার মেনেছে বাংলাদেশ।

সেসব ব্যর্থতা পেছনে ফেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে বহু প্রতীক্ষিত টেস্ট জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী। দেশের অন্যতম সেরা পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা টেস্ট দলে না থাকলেও অন্য পেসারদের প্রতি তাঁর আস্থার অভাব নেই, ‘ইদানীং মাশরাফির চেয়ে রুবেলই বেশি ভালো বোলিং করেছে। আর রাজীব (শাহাদাত হোসেন) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত সিরিজে সব ম্যাচে ভালো না করলেও আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে। নবাগত মোহাম্মদ শহীদ এক-দেড় বছর ধরে খুবই ভালো বোলিং করছে।’

বোলিং আক্রমণে পরিবর্তন ছাড়াও প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ দলে দেখা যেতে পারে নতুন মুখ। পেসার শহীদের সঙ্গে টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে সৌম্য সরকার বা লিটন দাসের।

র‌্যাংকিং আর অভিজ্ঞতায় বেশ পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করতে পারে প্রথম টেস্টের ভেন্যু। গত বছর তিন টেস্টের সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে একটি জয় ছিল শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। সেই সুখস্মৃতি উজ্জীবিত করে তুলতে পারে মুশফিকের দলকে।

অন্যদিকে টানা চার ম্যাচে হেরে চাপের মুখে থাকা পাকিস্তান দল চোট সমস্যায় আক্রান্ত। সোহেল খান, ইয়াসির শাহর পর ইনজুরিতে পড়ে রাহাত আলীও ছিটকে গেছেন টেস্ট দল থেকে। তবে সফরকারীদের জন্য আশার কথা, টেস্ট সিরিজে তারা পাচ্ছে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মিসবাহ-উল-হক ও ইউনিস খানকে। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক আজহার আলীও আছেন ভালো ফর্মে। মোহাম্মদ  হাফিজ, সাঈদ আজমল, ওয়াহাব রিয়াজ, উমর গুলদের অভিজ্ঞতা সফরকারীদের ভরসা জোগাবেই।