ইপিএল
যেখানে কোচরাই তারকা
ইউরোপের অন্যতম আকর্ষণীয় ও জমজমাট ফুটবল লিগ হলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বা ইপিএল। তবে গত এক দশককে ইপিএলের স্বর্ণযুগ ধরা হলেও বর্তমানে লিগটি বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে। এর প্রধান কারণ ইংলিশ দলগুলোর পারফরম্যান্স। ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদার আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, লিভারপুল, আর্সেনালের মতো বড় দলগুলোর পারফরম্যান্স সাদামাটা। ২০১০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোটে দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগে ফাইনালে পৌঁছেছে দুটি ইংলিশ দল। অন্যদিকে স্প্যানিশ লিগ থেকে ফাইনালিস্ট এসেছে ছয়টি আর জার্মানি থেকে চারটি। এমনকি ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগেও স্প্যানিশ দাপটের কাছে হার মানছে ইংলিশ দলগুলো।
সাফল্যের সঙ্গে খরা রয়েছে তারকা ফুটবলারদেরও। থিয়েরি অঁরি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর ভিনদেশি আর কোনো তারকা ফুটবলার দেখা যাচ্ছে না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। রোনালদোর পর ইংলিশ লিগের আর কোনো খেলোয়াড় জিততে পারেননি ফিফা ব্যালন ডি’অর। এমনকি জায়গা করে নিতে পারেননি সেরা তিনের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও। মাঝে লুইস সুয়ারেজ আর গ্যারেথ বেল চমক দেখালেও তাঁদের দুজনের ঠিকানা এখন বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদ। এ মৌসুমে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ইংলিশ ফুটবলে পা রাখলেও ৩৫ ছুঁতে যাওয়া সুইডিশ স্ট্রাইকার কতটা আলো ছড়াতে পারবেন, যথেষ্ট সংশয় রয়েছে তা নিয়ে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি আর লিভারপুলের মতো তিন পরাশক্তি এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পায়নি। তাই ক্লাবগুলো এবার উঠেপড়ে লেগেছে দুর্দিনের ইতি টানতে। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দলে টেনেছে বিখ্যাত কোচদের। এবারের ইপিএলে তাই তারকা কোচদের ছড়াছড়ি।
মাঠের লড়াইয়ে একে অপরকে ‘বধ’ করার কৌশল তো আছেই। মাঠের বাইরে সংবাদ সম্মেলন, সাক্ষাৎকার কিংবা টুইটারে কথার লড়াইও বেশ জমে উঠেছে মরিনিয়ো-ওয়েঙ্গারদের। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রয়েছেন বেশ কয়েকজন ‘হেভিওয়েট’ কোচ। তারকা খেলোয়াড়দের অভাব তাই এবার অনেকটাই ঢাকা পড়েছে তারকা কোচদের ভিড়ে। দেখা যাক, এ মৌসুমে কার কার মধ্যে জমে উঠবে ডাগআউটের লড়াই।
জোসে মরিনিয়ো
গত মৌসুম ভালো যায়নি স্বঘোষিত ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’-এর। দ্বিতীয়বারের মতো চেলসির দায়িত্ব নিয়ে একবার লিগ জেতালেও গত মৌসুমের শুরু থেকেই ধুঁকছিল ‘ব্লুজ’। ড্রেসিংরুমের বিভিন্ন সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়দেরও আস্থা হারাতে থাকেন মরিনিয়ো। মৌসুমের মাঝপথেই তাঁকে বরখাস্ত করে চেলসি কর্তৃপক্ষ।
তবে এই একটি মৌসুম দিয়ে বিচার করা যাবে না মরিনিয়োকে। তিনটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি ছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দুটি ইতালিয়ান সেরি আ ও একটি স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা। ইউরোপের প্রায় সব কটি বড় লিগের শিরোপাই উঠেছে তাঁর হাতে। এ ছাড়া দুটি ভিন্ন দলের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। সাফল্যের হারে মরিনিয়ো এগিয়ে আছেন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকেই।
এবারের মৌসুমে মরিনিয়োর ঠিকানা ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের পর থেকেই চরম সাফল্যখরায় ভুগছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ডেভিড ময়েসের অধীনে ভয়াবহ ব্যর্থতার পর পথ দেখাতে পারেননি লুই ফন গালও। বাধ্য হয়ে এবার তারা দলে টেনেছে ‘স্পেশালিস্ট ইন সাকসেস’-কে। তাই এ মৌসুমে আশায় বুক বেঁধেছে ‘রেড ডেভিল’ ভক্তরা। দলে যোগ দিয়েছেন ইব্রাহিমোভিচ, পল পগবার মতো তারকা ফুটবলার। এ দুই তারকাকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিয়ে আসার পেছনে প্রধান কৃতিত্ব মরিনিয়োর। কমিউনিটি শিল্ডের শিরোপা জিতিয়ে মৌসুমের শুরুতেই ম্যানইউকে উল্লাসে ভাসানোর পেছনেও ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচের বড় অবদান। লিগের প্রথম তিন ম্যাচও জিতেছে মরিনিয়োর নতুন দল।
পেপ গার্দিওলা
সাফল্যের দিক থেকে মরিনিয়োর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এই স্প্যানিয়ার্ড। বয়স মাত্র ৪৫ বছর। অথচ এরই মধ্যে জয় করেছেন তিনটি করে লা লিগা এবং জার্মান বুন্ডেসলিগার শিরোপা। বার্সাকে এনে দিয়েছেন দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাও। গার্দিওলার সাফল্যের হার অবিশ্বাস্য। মোট ১৪টি শিরোপা এনে দিয়ে তিনিই বার্সেলোনার সফলতম কোচ। বায়ার্ন মিউনিখের কোচ ছিলেন তিন মৌসুম। তিনবারই বায়ার্ন লিগ চ্যাম্পিয়ন। আরেকটি তথ্যও বিস্ময়কর। কোচিং ক্যারিয়ারে সাত মৌসুমের মধ্যে ছয়বারই লিগ শিরোপার মধুর স্বাদ পেয়েছেন গার্দিওলা।
স্পেন আর জার্মানি জয় করার পর গার্দিওলা এবার পাড়ি জমিয়েছেন ইংল্যান্ডে। এখন তিনি মরিনিয়োর ‘প্রতিবেশী’। ম্যানচেস্টারের আরেক ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির কোচের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। ম্যানচেস্টার শহরের দুই তারকা কোচের দ্বৈরথ এবারের ইপিএলের উত্তেজনায় যোগ করেছে নতুন মাত্রা। কারণ, মাঠে তাঁদের ‘শত্রুতা’ সেই রিয়াল-বার্সার কোচ থাকার সময় থেকে। এল ক্লাসিকোর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের উত্তাপ হয়তো এবার ইংলিশ ফুটবলেও ছড়িয়ে পড়বে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্রুতগতির ফুটবলের সঙ্গে গার্দিওলার ছোট-ছোট পাসের ‘তিকিতাকা’ কতটা খাপ খাওয়াতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় আছে অনেকের মনে। তবে লিগের শুরুটা ভালোই হয়েছে গার্দিওলার দলের। টানা তিনটি জয় নিয়ে শ্রেয়তর গোলগড়ে ম্যানচেস্টার সিটিই এখন লিগ টেবিলের শীর্ষে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে ভালো করাও বড় চ্যালেঞ্জ তাঁর জন্য। কারণ, ‘বড় দল’ হিসেবে আবির্ভূত হলেও ইউরোপের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতায় এখনো খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি ম্যানসিটি।
আন্তনিও কন্তে
ঘন ঘন কোচ পরিবর্তন করার দুর্নাম রয়েছে চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচের। ২০০৩ সালে এই রুশ ধনকুবের লন্ডনের ক্লাবটি কিনে নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ডজনখানেক কোচ এসেছে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। কিন্তু মরিনিয়ো, লুইস ফেলিপে স্কলারি, কার্লো আনচেলত্তি, গাস হিডিঙ্ক, রাফায়েল বেনিতিজের মতো অভিজ্ঞ কোচরাও আব্রামোভিচের মন জয় করতে পারেননি।
অনেকে ভেবেছিল, দ্বিতীয়বারের মতো চেলসির কোচের দায়িত্ব নিয়ে মরিনিয়ো হয়তো থিতু হতে যাচ্ছেন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। কিন্তু গত মৌসুমে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে আড়াই বছরের মাথায় বিদায় নিতে হয়েছে তাঁকেও।
এবার চেলসির কোচ হওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন ইতালির আন্তনিও কন্তে। কোচ হিসেবে যাঁর যথেষ্ট সাফল্য। জুভেন্টাসকে টানা তিনটি ইতালিয়ান লিগ শিরোপা এনে দেওয়ার পর যোগ দিয়েছিলেন ইতালির জাতীয় দলে। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর অধীনে ভালোই খেলেছিল ‘আজ্জুরি’রা। স্পেনকে শেষ ষোলো থেকে বিদায় করে দেওয়ার পর কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হার মেনেছিল কন্তের শিষ্যরা।
এবার কন্তের সামনে চেলসিকে সাফল্য এনে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ। লিগের শুরুটা ভালোই হয়েছে ‘ব্লুজ’-এর। জিতেছে প্রথম তিন ম্যাচেই। কোনো ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে এবার খেলার সুযোগ পাচ্ছে না চেলসি। তাই সাফল্যপিপাসু কন্তের সামনে শুধু একটাই প্রতিযোগিতা—ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। খেলোয়াড়দের উদ্দীপ্ত করার ক্ষমতা আর মাঠে সরব উপস্থিতির কারণে কন্তে এবারের ইপিএলের অন্যতম আলোচিত কোচ। এরই মধ্যে জয় করে নিয়েছেন অনেক চেলসি-ভক্তর মন। আব্রামোভিচের মনও জয় করতে পারবেন তো?
ইয়ুর্গেন ক্লপ
ইংলিশ প্রথম বিভাগ লিগে রেকর্ড ১৮ বারের চ্যাম্পিয়ন ছিল লিভারপুল। অথচ ১৯৯২ সালে প্রথম বিভাগ থেকে নতুন রূপে চালু হওয়া প্রিমিয়ার লিগে একবারও শিরোপা জিততে পারেনি তারা। ২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলেও ইপিএলে ‘অলরেড’রা চেলসি, ম্যানইউ, ম্যানসিটিদের শিরোপা লড়াইয়ের সামনে কখনোই হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সেরা চারে থেকে মৌসুম শেষ করতে পারাই এখন বিশাল চ্যালেঞ্জ লিভারপুলের কাছে। তবু ঐতিহ্যবাহী দলটিকে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের জন্য। জার্মান বুন্ডেসলিগার মতো একপেশে প্রতিযোগিতায় যে কোচ বায়ার্ন মিউনিখের ‘সাম্রাজ্য’ ধসিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন, লিভারপুলের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব শুধু তাঁর পক্ষেই।
গত মৌসুমের শুরুতে নয়, বরং অক্টোবরে লিভারপুলে যোগ দিয়েছিলেন ক্লপ। লিগে তেমন ভালো করতে না পারলেও ইউরোপা লিগের ফাইনালে তুলেছিলেন দলকে। ইংলিশ লিগ কাপেও লিভারপুল রানার্সআপ হয়েছে তাঁর অধীনে। ‘অলরেড’ভক্তরা তাই তাকিয়ে আছে কোচের দিকে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে দুটো বুন্ডেসলিগার ট্রফি এনে দেওয়া ক্লপের আপাতত লক্ষ্য লিভারপুলকে লিগের সেরা চারে জায়গা করে দেওয়া।
ক্লদিও রানিয়েরি
এক বছর আগেও হয়তো এ তালিকায় জায়গা হতো না ৬৪ বছর বয়সী ক্লদিও রানিয়েরির। গত মৌসুমের আগ পর্যন্ত প্রায় তিন দশকের কোচিং ক্যারিয়ারে তেমন বড় কোনো সাফল্য ছিল না এই ইতালিয়ানের। এমনকি গত বছর যখন লেস্টার সিটির কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সমলোচনা হয়েছিল তা নিয়েও। কিন্তু এরপর যা ঘটেছিল, সেটা শুধুই যেন রূপকথা! ১০ বছর পর ২০১৪ সালে প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসার পরের মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন ‘ছোট’ দলটি। অপরিচিত-অখ্যাত খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়েও লেস্টারের অভাবনীয় সাফল্যে রানিয়েরির যে বিশাল অবদান, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এবারের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি ‘ফক্স’দের। লিগের প্রথম ম্যাচেই হেরে গেছে নবাগত হাল সিটির কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে আর্সেনালের সঙ্গে হয়েছে গোলশূন্য ড্র। তবে তৃতীয় ম্যাচে সোয়ানসি সিটিকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে রানিয়েরির শিষ্যরা। লেস্টার সমর্থকদের আশা, রানিয়েরি হয়তো তাদের নতুন আরেকটি রূপকথা উপহার দিতে পারবেন।
আর্সেন ওয়েঙ্গার
গত ২০ বছর ধরে উত্তর লন্ডনের ক্লাব আর্সেনালের কোচের দায়িত্ব আর্সেন ওয়েঙ্গারের কাঁধে। নামের সঙ্গে মিল রেখে ওয়েঙ্গার যেন হয়ে উঠেছেন আর্সেনালের প্রতিশব্দ। ‘গানার’দের তিনি এনে দিয়েছেন তিনটি লিগ আর ছয়টি এফএ কাপের শিরোপা। ইপিএলের দ্রুতগতির ফুটবলের মধ্যে আর্সেনালের নান্দনিক ফুটবল আলাদাভাবে প্রশংসিত হয়েছে ইংল্যান্ডে। সেই নান্দনিকতার রূপকার যে ওয়েঙ্গার, তা বলা বাহুল্য।
তবে অনেক দিন ধরেই ইপিএলে সাফল্য পায়নি আর্সেনাল। তারা সর্বশেষ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দীর্ঘ এক যুগ আগে। অঁরি-ভিয়েরা-পিরেসদের সোনালীয় সময়ের পর ‘গানার’দের আর তেমন কোনো সাফল্যই এনে দিতে পারেননি ওয়েঙ্গার। এরই মধ্যে ‘স্পেশালিস্ট ইন ফেইলিয়র’ উপাধি দিয়ে ওয়েঙ্গারকে বেশ চটিয়েছেন মরিনিয়ো। অনেকের ধারণা, এ মৌসুমে ভালো কিছু না করতে পারলে আর্সেনাল থেকে হয়তো মুছে যাবে ‘আর্সেন’ নামটি! ওয়েঙ্গারের সামনে তাই কঠিন পরীক্ষা।
চরম অনিশ্চিত ইপিএল সম্পর্কে মৌসুমের শুরুতে কিছুই বলা যায় না। হয়তো নতুন কিছু যোগ হতে পারে মরিনিয়ো কিংবা গার্দিওলার সাফল্যের তালিকায়। অথবা জন্ম নিতে পারে নতুন কোনো ‘রানিয়েরি’। তবে মৌসুমশেষে ট্রফি যার হাতেই উঠুক, মৌসুমজুড়ে তারকা কোচদের ভেতর যে তীব্র লড়াই হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর মাঠের বাইরের এ লড়াই দেখতেও কম উন্মুখ নয় ফুটবলপ্রেমীরা।