ওয়ার্নারের ‘সেরা বাবা’ হওয়ার উচ্ছ্বাস

Looks like you've blocked notifications!

প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম রোববার বাবা দিবস পালিত হয় অস্ট্রেলিয়ায়। এ উপলক্ষে ক্রীড়াঙ্গনের সেরা বাবার পুরস্কার দেওয়া হয় একজনকে। এ বছর পুরস্কারটা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।

কয়েক বছর আগেও নেতিবাচক খবরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকত ওয়ার্নারের নাম। একবার তো নাইট ক্লাবে ইংল্যান্ডের জো রুটকে ঘুষি মেরে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন জাতীয় দলে। তবে বিয়ের পর থেকে তিনি অন্য মানুষ। স্ত্রী ক্যান্ডিস আর ছোট্ট দুই মেয়ে আইভি আর ইন্ডিকে নিয়ে এখন তাঁর সুখের সংসার। আগের চেয়ে অনেক শান্ত, ধীর-স্থির হয়েছেন।

মাথা ঠান্ডা রাখার সুফলও পাচ্ছেন ওয়ার্নার। ব্যাটে রান আসছে, আসছে অনেক পুরস্কার। বছরের শুরুতে জিতেছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার ব্যক্তিগত পুরস্কার অ্যালান বোর্ডার মেডেল। আর এবার পেলেন ২০১৬ সালের ‘ফিলিপস স্পোর্টস ড্যাড অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াঙ্গনের সেরা বাবা হয়ে ওয়ার্নার উচ্ছ্বসিত। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকেট ডটকম ডট এইউ’কে তিনি বলেছেন, ‘খেলায় উন্নতিতে পিতৃত্ব অনেক সাহায্য করেছে আমাকে। মাঠের বাইরে এটা আমার দায়িত্ববোধ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি সবসময় বাচ্চাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম। তাই বাচ্চাদের সঙ্গ দারুণ উপভোগ করি। মনে হয় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার শান্ত-বিনীত হয়ে ওঠার পেছনে আমার স্ত্রীর অনেক বড় অবদান।’  

পিতৃত্ব সম্ভবত নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও এনে দিয়েছে ওয়ার্নারকে। এ বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা এনে দিয়েছিলেন তিনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ আর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল তাঁরই। স্টিভেন স্মিথ সফরের মাঝপথে দেশে ফিরে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে ওয়ার্নারই নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে।