হকিতে আশার আলো?
মোহামেডানের নেতৃত্বে চারটি ক্লাব হকির সব প্রতিযোগিতা দীর্ঘদিন ধরে বয়কট করে আসছে। হকি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির অধীনে না খেলার সিদ্ধান্তে তারা অনড়। চারটি ক্লাবকে কিছুতেই মাঠে ফেরাতে পারছিল না ফেডারেশন। প্রায় দুই বছর আগে ফেডারেশনের নির্বাচনের পর থেকেই এই অচলাবস্থা চলছে। অবশেষে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। বুধবার হকি ফেডারেশন ও প্রিমিয়ার লিগের সব ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
ক্রীড়া উপমন্ত্রীর আশা, সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। অন্যদিকে মোহামেডানসহ ‘বিদ্রোহী’ চারটি ক্লাবের দাবি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে হকির কার্যক্রম শুরু করার।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে বৈঠক শেষে আরিফ খান জয় বলেন, ‘আমরা এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কয়েকজন অভিজ্ঞ সংগঠককে নিয়ে আরেকটা বৈঠকে বসব। আশা করছি সেখানেই একটা সমাধান হবে। তবে একটা ভালো দিক হচ্ছে সব ক্লাব লিগে খেলতে সম্মত হয়েছে।’
সেই বৈঠকে অংশ নেবেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, আবাহনীর পরিচালক আফজালুর রহমান সিনহা এবং বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল।
ক্রীড়া উপমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ, ‘বল এখন ক্রীড়া উপমন্ত্রীর কোর্টে। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তা মেনে নেব। কারণ আমরা চাই সব দলই লিগে অংশগ্রহণ করুক।’
লিগে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চারটি ক্লাবও। সভা শেষে মেরিনার ইয়াংসের সাধারণ সম্পাদক হাসানউল্লাহ খান রানা বলেছেন, ‘উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আমরা বলেছি, লিগে আমরা খেলতে আগ্রহী। তবে এই কমিটির অধীনে নয়। অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হলেই আমরা লিগে খেলব। তবে দ্রুত একটা সমাধানে পৌঁছাতে হবে।’
মোহামেডানের প্রতিনিধি আরিফুল হক প্রিন্স বলেন, ‘হকিতে এই অচলাবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেলোয়াড়রা। খেলোয়াড়দের স্বার্থেই আমাদের দ্রুত এবং সমাধানযোগ্য ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।’
২০১৩ সালের নির্বাচনের পর থেকে মোহামেডান, মেরিনার্স, ওয়ারী ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাব হকির কোনো কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে না। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ছিল দাবি করে খাজা রহমতউল্লাহর কমিটিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছে ক্লাব চারটি।