রিয়ালের বিদায়, ফাইনালে জুভেন্টাস

Looks like you've blocked notifications!
পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন; কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। ম্যাচ শেষে তাই হতাশায় মাথায় হাত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ছবি : এএফপি

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে এখনো কোনো দল টানা দুবার শিরোপা জিততে পারেনি। সেই ‘ঐতিহ্য’ বজায় রেখে ইউরোপের সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদও। রিয়ালের মাঠে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগ ১-১ গোলে ড্র করায় ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে জুভেন্টাসের। আগামী ৬ জুন বার্লিনের ফাইনালে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা।

গত সপ্তাহে জুভেন্টাসের মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগ ২-১ গোলে হেরে যাওয়ায় বুধবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জিততেই হতো রিয়ালকে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক স্পেনের পরাশক্তিরা ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু মার্সেলোর ক্রস থেকে গ্যারেথ বেলের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে গেলে হতাশ হতে হয় রিয়াল-ভক্তদের। এর পর পোস্টের বেশ কাছ থেকে করিম বেনজেমার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট আর বেলের আরেকটি প্রচেষ্টা জুভেন্টাস গোলরক্ষক জানলুইজি বুফন দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দিলে আবার দীর্ঘশ্বাস নেমে আসে বার্নাব্যুতে।

তবে ২৩ মিনিটে রিয়ালকে হতাশ করতে পারেননি বুফন। হামেস রদ্রিগেজকে জর্জো কিয়েল্লিনি ফাউল করায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিক দল। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল হয়নি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটা পর্তুগিজ তারকার ৭৭তম গোল। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তিনি এখন লিওনেল মেসির সঙ্গে শীর্ষ আসনে।

বিরতির আগে বেনজেমার দুটো শট ঠেকিয়ে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি বুফন। রোনালদো আর ইসকোও সুযোগ নষ্ট করায় প্রথমার্ধে এক গোলের অগ্রগামিতা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় রিয়ালকে।

তার মাশুলও দিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের রেকর্ড ১০ বারের চ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ক্লাউদিও মার্কিসিওর প্রচেষ্টা একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর ৫৭ মিনিটে সমতায় ফেরে জুভেন্টাস। আন্দ্রেয়া পির্লোর ফ্রিকিক ঠিকমতো বিপদমুক্ত করতে পারেনি রিয়ালের ডিফেন্স। বল পল পগবার পা ঘুরে চলে আসে গত বছরের জুলাইয়ে রিয়াল থেকে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়া আলভারো মোরাতার কাছে। দুর্দান্ত এক ভলিতে রিয়ালের গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে পরাস্ত করে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের আনন্দে ভাসিয়ে দেন তিনি।

রিয়াল অবশ্য আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু বেলের দুটো আর রোনালদোর একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে গোলের দেখা পায়নি। তাই দুই লেগ মিলে ৩-২ ব্যবধানে অগ্রগামিতা এক যুগ পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে নিয়ে গেছে জুভেন্টাসকে।