২০১৮ বিশ্বকাপে খেলবেন তো মেসি?
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সম্ভাব্য সব কিছুই অর্জন করেছেন লিওনেল মেসি। পাঁচবার জিতেছেন ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার। কিন্তু জাতীয় দলের আকাশি-সাদা জার্সির দিকে তাকালে হয়তো শুধু আক্ষেপই করতে হয় এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে। আর্জেন্টিনার হয়ে এখন পর্যন্ত বড় কোনো শিরোপা জেতা হয়নি মেসির। বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা মিলিয়ে টানা তিন আসরের ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েও শিরোপা জিততে না পারার হতাশায় তো আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ই বলে দিয়েছিলেন। ফিরে এসেছেন শুধু বিশ্বকাপ শিরোপাটার দিকে তাকিয়ে।
কিন্তু ২০১৮ সালের পরবর্তী বিশ্বকাপে মেসিকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর সংশয়। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা যেভাবে একের পর এক হোঁচট খাচ্ছে, তাতে বেশ উৎকণ্ঠাতেই থাকতে হচ্ছে সমর্থকদের। আজ শুক্রবার নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারের লজ্জায় ডুবতে হয়েছে মেসির আর্জেন্টিনাকে।
দক্ষিণ আমেরিকার ১০ দলের বাছাইপর্ব থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে শীর্ষ চারটি দল। পঞ্চম স্থানে থাকা দলটিকে খেলতে হবে প্লে-অফ। কিন্তু ১১ ম্যাচ পরে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টিনা আছে ষষ্ঠ স্থানে। শেষপর্যন্ত এমন অবস্থায় থেকে গেলে দুইবারের শিরোপাজয়ী আর্জেন্টিনা ও এ সময়ের সেরা ফুটবলার মেসিকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী বিশ্বকাপ।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আসতে আসতে মেসির বয়স হয়ে যাবে ৩১ বছর। শিরোপাজয়ের জন্য এবারই হয়তো নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার সুযোগ পাবেন আর্জেন্টাইন এই তারকা। কিন্তু আর্জেন্টিনা যদি শেষপর্যন্ত বাছাইপর্বই পেরোতে না পারে, তাহলে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম ট্রাজিক তারকা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে মেসির নাম।
বাছাইপর্বের বাকি সাতটি ম্যাচে বেশ কয়েকটি কঠিন বাধা পেরোতে হবে আর্জেন্টিনাকে। খেলতে হবে কলম্বিয়া, চিলি, উরুগুয়ে, ইকুয়েডরের বিপক্ষে। চারটি দলই এই মুহূর্তে এগিয়ে আছে আর্জেন্টিনার চেয়ে। ১১ ম্যাচ শেষে ২৪ ও ২৩ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্ব প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছে ব্রাজিল ও উরুগুয়ে। ১৮ ও ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে কলম্বিয়া ও ইকুয়েডর। পঞ্চম স্থানে থাকা চিলির ঘরেও জমা হয়েছে ১৭ পয়েন্ট। এক পয়েন্ট কম নিয়ে আর্জেন্টিনা আছে ষষ্ঠ স্থানে। আর ১৫ ও ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টিনার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে প্যারাগুয়ে ও পেরু।