বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে বাধা মালয়েশিয়া
১৯৯৫ সালে মিয়ানমারের গ্র্যান্ড রয়েল চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্যের যে যাত্রা শুরু, ২০১০ সালের এসএ গেমসে এসে তা থেমে গেছে। মাঝখানে কেটে গেছে প্রায় পাঁচ বছর। এবার আরেকটি সাফল্যের হাতছানি। রোববার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে মালয়েশিয়াকে হারাতে পারলে পঞ্চম আন্তর্জাতিক শিরোপার উল্লাসে মেতে উঠবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বিকেল ৫টায়।
জার্মান কোচ অটো ফিস্টার এবং দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার মোনেম মুন্নার হাত ধরে মিয়ানমারে যে যাত্রার সূচনা হয়েছিল, ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ ও অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম কি পারবেন তা আরো সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে?
এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেও মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ওই ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে বাজেভাবে প্রতিযোগিতা শুরু করেছিল স্বাগতিক দল। ম্যাচটা অবশ্য হয়েছিল সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে। তবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে জড়িয়ে একটি তথ্য রোববার ক্রুইফের দলকে অনুপ্রাণিত করবেই। ১৯৯৯ সালে এই মাঠেই দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু কাপে মালয়েশিয়াকে এক গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর সঙ্গে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে উজ্জীবিত পারফরম্যান্সের আত্মবিশ্বাস তো আছেই।
শিরোপা জিততে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ডি ক্রুইফ শিষ্যদের প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল, ‘দল হিসেবে মালয়েশিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু আমার খেলোয়াড়রা নিজেদের ভালোভাবে মেলে ধরতে পারলে ফল আমাদের পক্ষে আসবেই। আমার বিশ্বাস ছেলেরা আমাকে হতাশ করবে না। দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে তারা প্রস্তুত।’
অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের কণ্ঠে কোচের কথারই যেন প্রতিধ্বনি, ‘দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া। আশা করছি আমরা শিরোপা জিততে পারব। সেই বিশ্বাস আমাদের আছে।’
শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে মামুনুল আর তাঁর সতীর্থরা উত্তেজিত-রোমাঞ্চিত। ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মনেও উত্তেজনার ছোঁয়া কম নেই। শনিবার সকালে টিম হোটেলে যান সাবেক তারকা ফুটবলার। খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে কিছুটা সময় কাটান তাঁদের সঙ্গে। সেমিফাইনালে দুর্দান্ত খেলা জাহিদ হোসেনকে জড়িয়ে ধরে তিনি বলেন, ‘তোমরাই আমার ভরসা। দেশের ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে তোমাদের জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমার বিশ্বাস, তোমরা আমাকে শিরোপা এনে দেবে।’
ফুটবলারদের উৎসাহিত করতে বিশাল অঙ্কের পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন বাফুফে সভাপতি। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলাদেশ দলকে এক কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।