স্বপ্নের বিদায়ের অপেক্ষায় জাভি

Looks like you've blocked notifications!
জাভি হার্নান্দেজ। ছবি : এএফপি

মাত্র ১১ বছর বয়সে পা রেখেছিলেন বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবে। বেড়ে উঠেছেন ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাবটির অ্যাকাডেমি ‘লা মেসিয়ায়’। দুই যুগ পর বিদায় জানাতে যাচ্ছেন প্রিয় ক্লাবকে। এবারের মৌসুম শেষে বার্সেলোনা ছেড়ে কাতারের ক্লাব আল সাদে পাড়ি জমানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাভি হার্নান্দেজ। বার্সেলোনায় দারুণ জনপ্রিয় এই কুশলী মিডফিল্ডারের বিদায়টা হতে পারে স্বপ্নের মতো। 

১৯৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে বার্সেলোনার মূল দলে সুযোগ পান জাভি। এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে ওঠেন দলের মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা। বার্সার পক্ষে রেকর্ড ৭৬৪টি ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব জাভির দখলে। কাতালানদের ২৩টি শিরোপা জয়ের সাক্ষী তিনি। ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার বার্সা থেকে বিদায় নিতে পারেন আরো দুটি শিরোপা জিতে। 

এবারের মৌসুমে লা লিগার শিরোপা এরই মধ্যে জিতে নিয়েছে বার্সা। হাতছানি দিচ্ছে কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। দুটি প্রতিযোগিতায়ই বার্সা পেয়ে গেছে ফাইনালের টিকিট। দুটো শিরোপাই জিততে পারলে ইতিহাস গড়বে বার্সা। ইউরোপের প্রথম ক্লাব হিসেবে অর্জন করবে দুটি ট্রেবল জয়ের অসাধারণ গৌরব। জাভির বিদায়ও হবে রূপকথার মতো। 

অথচ এই জাভিই গত মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা পাল্টানোর জন্য নিজেকেই ধন্যবাদ দিচ্ছেন তিনি, ‘গত মৌসুমে ক্লাব ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তা ঠিক হতো না। বিশ্বকাপ আর বার্সার হয়ে ব্যর্থতার কারণে আমি খুব মর্মাহত ছিলাম। এখন আমাদের সামনে ইতিহাস গড়ার সুযোগ। এই মৌসুম বার্সায় থেকে যাওয়ায় আমি খুবই খুশি।’

এবারের মৌসুম শেষে বার্সা থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেই মনে করছেন জাভি, ‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। কিন্তু এখনই বিদায় বলার সঠিক সময়। এখানে (বার্সেলোনায়) এখনো নিজেকে কার্যকর বলে মনে হয়। কিন্তু একটা পরিবর্তন আসাও জরুরি। আমার মস্তিষ্ক আমাকে সে কথাই বলছে। কিন্তু আমার মন বলছে অন্য কথা। আমি বার্সেলোনা পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছি। আমার তো মনে হয় আমি এখানে ভালোই অবদান রাখতে পেরেছি।’
                      
১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে অভিষেকেই লা লিগার শিরোপা জিতেছিলেন জাভি। একই সাফল্য পেলেন নিজের শেষ মৌসুমেও। সব মিলিয়ে কাতালানদের হয়ে আটটি লা লিগা, তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং দুটি করে কোপা দেল রে ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন তিনি।