নারী ফুটবলের বর্তমান অবস্থা ‘দুঃখজনক’, বললেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ছিল আজ রোববার (২৮ মে)। বছরজুড়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখা খেলোয়াড়, কোচ, সংগঠকদের পুরস্কৃত করে থাকে দেশের অন্যতম পুরোনো এই সংগঠনটি। আজ বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ২০২২ সালে ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখাদের হাতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার তুলে দেয় সংগঠনটি। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর বাফুফের বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিশেষত, ২০২২ সালের সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের কোচ ও একাধিক খেলোয়াড়ের অবসরে যাওয়াকে ‘দুঃখজনক’ বলেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কোচ চলে যাচ্ছেন, খেলোয়াড়রা থাকছেন না। ফেডারেশনের আন্তরিকতার অভাব আছে। বাফুফের উচিত বিষয়গুলোতে আরও গুরুত্ব দেওয়া।”
দুরন্ত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় আসর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এখন দলটি। তাদের নিয়ে নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ফুটবলভক্তরা। এরই মধ্যে এলো দলের সফল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ঘোষণা দিয়েছেন পদত্যাগের। গত পরশু এই ঘোষণা দেন তিনি। সেদিনই মাত্র ২২ বছরে অবসরে চলে যান সাফজয়ী ফুটবলার সিরাত জাহান স্বপ্না। এর আগে জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ায় অভিমানে অবসর নিয়েছিলেন দুই ফুটবলার সাজেদা খাতুন ও আনুচিং মগিনি আগেই বিদায় বলেছেন ফুটবলকে। আজ মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ক্যাম্প ছাড়লেন সাফজয়ী ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন।
সবমিলিয়ে নারী ফুটবলে চলছে ক্রান্তিকাল। এমনিতেও নারীরা খুব বেশি খেলার সুযোগ পান না। যতটুকু পান, তাতেই নিজেদের উজাড় করে দেন। তবুও স্বপ্নের পথে বেতনসহ নানা প্রতিকূলতায় একের পর এক এভাবে সরে যাওয়া দেশের নারী ফুটবলের জন্য অশনিসংকেত বটে।