সাফে নবম শিরোপা ঘরে তুলল ভারত
বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামের দর্শকরা তখন অপেক্ষায়। কুয়েতের অধিনায়ক খালেদ হাজিয়া টাইব্রেকারে ষষ্ঠ শটটি নিলেন, বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি ঠেকিয়ে দিলেন ভারত গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং। ভারতের সেইভ এবং শিরোপা অর্জন।
সাডেন ডেথে গড়ানো টাইব্রেকারের আগের শটে ভারত গোল করায় আর শটের প্রয়োজন পড়েনি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ এর ফাইনালে আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) ১২০ মিনিট ও টাইব্রেকের পাঁচ শটেও মীমাংসা না হওয়া ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় সাডেন ডেথে। মনে রাখার মতো এক ফাইনাল দেখল দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল প্রেমীরা।
নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয় খেলা। পরে, কুয়েতকে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে নবম সাফ শিরোপা জিতে নেয় ভারত।
সাফে কুয়েতের প্রথম অংশগ্রহণ হলেও তাদের ধরা হয়েছিল আসরের সবচেয়ে শক্তিশালি দল হিসেবে। তার প্রমাণ দিয়ে সমানে সমান লড়াই চালিয়ে গেছে কুয়েত। প্র্রথমার্ধে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুদল।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোল পেয়ে যেতে পারত ভারত। কিন্তু, ভারতের আকাশ মিশ্রার শট ঠেকিয়ে দেন কুয়েত গোলরক্ষক রহমান মারজুক।
সপ্তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে প্রথম গোলটা পেয়ে যেতে পারত কুয়েতও। আলফানেনির কাউন্টার অ্যাটাক কাটা পড়ে অফসাইডের ফাঁদে। মিনিট দুয়েক পরেই বাম প্রান্ত থেকে আব্দুল্লাহর ক্রস কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ভারত গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং।
তবে, ১৪ মিনিটে আর রক্ষা পায়নি ভারত। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে আলফানেনি বল বাড়ালেন আলব্লাউসির দিকে। আলব্লাউসি বল বাড়িয়ে দেন আলখালদির দিকে। সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন আলখালিদি।
গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া ভারত ১৬ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত। কিন্তু, সুনীল ছেত্রীর শট ঠেকিয়ে দেন কুয়েত গোলরক্ষক। এরপর দুইদলই চেষ্টা করেছে গোল করতে। ৩৯ মিনিটে ভারত সেই সুযোগটা পেয়ে যায়। সুনীল ছেত্রীর তৈরি করা বল থেকে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান লালিয়ানজুয়ালা চাগতে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল কোনো গোলের দেখা না পাওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল না হলে ম্যাচ নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে।