আফগানিস্তানকে হারাতে বাংলাদেশের চাই ১৫৫

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : ওয়ালটন

মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরিতে খেলা মাঠে গড়ানো নিয়েই সন্দেহ জেগেছিল। কিন্তু সব শঙ্কা উড়িয়ে বিকেল হতে সিলেটের আকাশে ঝলমলে রোদ। সোনালি রোদের আভায় বাংলাদেশের বোলিংটাও হয়েছে ঝলমলে। দাপুটে বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। বোলারদের দিনে সফরকারীদের মাঝারি লক্ষ্যে আটকে দিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।  

আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন মোহাম্মদ নবী। 

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মেঘলা কন্ডিশন কাজে লাগাতে টস জিতে বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে ভুল নয় সেটা প্রমাণ করেন বোলাররা। ইনিংসের শুরুটা করেন নাসুম আহমেদ। ২ রান দিয়ে প্রথম ওভার শুরু করেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই মিলে যায় সাফল্য। ওই ওভারের প্রথম বলে লং অন দিয়ে নাসুমকে ছক্কা হাঁকান হজরতউল্লাহ জাজাই। সেই প্রতিশোধ পরের বলেই নেন নাসুম। অনেকটা ঝুলানো বল দিয়ে তাওহিদের হাতে ক্যাচ বানিয়ে জাজাইকে সাজঘরে পাঠান সিলেটের এই স্পিনার। 

চতুর্থ ওভারে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ফিরিয়ে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। তাসকিনের করা স্লোয়ার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন গুরবাজ (৩)। জোড়া ধাক্কা খাওয়ার চাপ সামলানোর আগেই আফগান শিবিরে তৃতীয় আঘাত দেন শরিফুল ইসলাম। 

ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শরিফুলকে সজোরে ছক্কা হাঁকান ইব্রাহিম জাদরান। পরের বলটিও চেয়েছেন উড়িয়ে মারতে। জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েন লিটন দাসের হাতে। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় আফগানরা।

এর মধ্যেই আক্রমণে এসে করিম জান্নাতকে বিদায় করেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়কের করা ডেলিভারিটি উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছেন জান্নাত। টাইমিং মেলেনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় মিডঅফে। সেখানে থাকা ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করলেন না। 

৫২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বিপদে পড়ে যায় অতিথিরা। সেই বিপদ কাটাতে হাল ধরেন মোহাম্মদ নবী ও নাজিমুল্লাহ জাদরান। কিন্তু জমে ওঠার আগেই এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেটের পেছেন লিটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন নাজিবুল্লাহকে (২৩)।

নাজিবুল্লাহকে হারানোর পর ওমরজাইকে নিয়ে আরেকটি জুটি উপহার দেন নবী। তাতেই আফগানিস্তান পেয়ে যায় লড়াইয়ের পুঁজি। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ৪০ বলে ৫৪ রানের ইনিংস উপহার দেন নবী। ৩৩ রান করেন ওমরজাই। আর শেষ দিকে রশিদ খান করেন ৩ রান।   

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ২৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। সমান একটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর 

আফগানিস্তান : ২০ ওভারে ১৫৪/৭( জাজাই ৮, গুরবাজ ১৬, জাদরান ৮, জান্নাত ৩, নবী ৫৪, নাজিবুল্লাহ ২৩, ওমরজাই ৩৩, রশিদ খান ৩, মুজিব ০; নাসুম ৩-০-২০-১, তাসকিন ৪-০-২৯-১, শরিফুল ৩-০-৩০-১, সাকিব ৪-০-২৭-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩১-১, মিরাজ ২-০-১৩-১)।