ভারতীয় নারী দলের অধিনায়ককে নিষিদ্ধ করল আইসিসি
শাস্তির বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। শাস্তির মাত্রাটিও বিশ্লেষণ করেছিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। অবশেষে সেটি জানা গেল। ভারত নারী দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরকে পরবর্তী দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য বরখাস্ত করল আইসিসি। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নিজেদের ওয়েবসাইটে হারমানপ্রীতের শাস্তির বিষয়টি জানায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাটি। সেখানে বলা হয়, দুটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে তার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ভারত নারী দলের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় গত ২২ জুলাই। শ্বাসরুদ্ধকর টাই ছাপিয়ে আলোচনায় আসে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ। ম্যাচের আম্পায়ারিং নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে একই ম্যাচে একাধিকবার অশোভন আচরণ করেন তিনি।
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের ৩৪তম ওভারে বাংলাদেশি স্পিনার নাহিদা আক্তারের বলে আউট হন হারমানপ্রীত। আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি। ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙেন এবং মাঠ ছাড়ার সময় আম্পায়ারকে চোখরাঙানি দেন।
এতে, আইসিসির কোচ অব কন্ডাক্টের লেভেল টুর ধারা ২.৮ ভঙ্গ করেন তিনি। মাঠে উগ্র আচরণ ও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করায় ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয় আইসিসি।
ভারতীয় তারকা সেদিন ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কথা বলতে এসে আম্পায়ারিং নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন সবার সামনে। আইসিসির লেভেল ওয়ানের ধারা ২.৭ এ বলা আছে, আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলা চলাকালীন হওয়া কোনো ঘটনা নিয়ে খেলা শেষে জনসমুক্ষে বাজে মন্তব্য করা যাবে না। এই ধারা ভঙ্গ করায় হারমানপ্রীতকে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা ও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড় একসঙ্গে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেটি দুটো নিষেধাজ্ঞা পয়েন্টে রূপান্তরিত হয়। যার শাস্তি হিসেবে একটি টেস্ট, দুটো ওয়ানডে অথবা দুটো টি-টোয়েন্টি— শাস্তির ঘোষণা দেওয়ার পর যে ফরম্যাটের খেলা আগে আসে, সেখানে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় ক্রিকেটারকে
আইসিসির ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদের দেওয়া শাস্তি হারমানপ্রীত মেনে নেওয়ায় শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।