টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট পেতে দর্শকদের অভূতপূর্ব সাড়া
আর মাত্র চার মাসের অপেক্ষা। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় বিশ্বের ১২৬টি দেশ থেকে টিকিটের জন্য আবেদন করেছেন অন্তত ১২ লাখ মানুষ।
গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতির মাধ্যমে আইসিসি জানায়, টিকিট ক্রয়ের জন্য দর্শকদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ১২ লাখ মানুষ টিকিটের জন্য আবেদন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও উইন্ডিজের স্থানীয় দর্শককের আবেদনের সংখ্যা ৯ লাখের বেশি।
টিকিটস ডট টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপ ডট কম এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদনের ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি করা হবে। গ্রুপপর্বে দুই লাখ ৬০ হাজার টিকিট ছয় ডলার করে এবং শেষ আট ও সেমিফাইনালে টিকিটের মূল্য হবে ২৫ ডলার। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের মূল্য আকাশছোঁয়া। মাঠে বসে দেখতে হলে গুনতে হবে অন্তত ১৭৫ ডলার। একজন দর্শক একটি ম্যাচের সর্বোচ্চ ছয়টি টিকিট কাটতে পারবেন। সব পর্যায় মিলিয়ে সর্বোচ্চ ছয়টি ম্যাচের টিকিট কাটতে পারবেন।
আইসিসির দাবি, নতুন নতুন এলাকায় ক্রিকেট যে ক্রমশ ছড়িয়ে যাচ্ছে, এটাই তার প্রমাণ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমেরিকার দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ সবচেয়ে বেশি। সে দেশের মানুষের পাশাপাশি ভারতীয় উপমহাদেশের লোকেরাও বিশ্বকাপ দেখতে আগ্রহী।
টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। তবে সে দিন থেকে টিকিট কাটা যায়নি। সব দর্শক যাতে খেলা দেখতে পান, সেজন্য ‘ব্যালট’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করবে আইসিসি। ৭ ফেব্রুয়ারি, অ্যান্টিগার স্থানীয় সময় রাত ১১.৫৯ পর্যন্ত খেলা দেখার জন্য ব্যালটে নাম তোলা যাবে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। ব্যালটে নাম লেখানোর পর ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে কোন কোন ম্যাচে সংশ্লিষ্ট দর্শক টিকিট কেটেছেন।