চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সাকে রুখে দিল নাপোলি
ফুটবলের ইতিহাসে দিয়াগো ম্যারাডোনা এক অনন্য নাম। এই নামের সাথে জড়িয়ে আছে ফুটবলের অসংখ্য রেকর্ড। ম্যারাডোনা তার ক্যারিয়ারের স্বল্প সময় খেলেছেন স্প্যানিশ স্বনামধন্য ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে। সেখানকার মানুষের কাছে তিনি কিংবদন্তি। অন্যদিকে ইতালির ক্লাব নাপোলিতে ম্যারাডোনা পেয়েছেন অভূতপূর্ব সাড়া। সেখানকার মানুষের কাছে ম্যারাডোনা যেনো তাদের 'ঈশ্বর'। সেই বার্সেলোনা এবং নাপোলির মধ্যকার 'ম্যারাডোনা ডার্বি’তে জেতেনি কেউ।
গতকাল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ইতালির দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের লড়াইটি শেষ হলো ১-১ সমতায়। রবার্তো লেভানডোভস্কির গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে যাওয়ার পর নাপোলিকে সমতায় ফেরান ভিক্টর ওসিমেন।
ম্যাচের শুরুতে বল দখলে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। একের পর এক আক্রমণ করলেও কিছুতেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না কাতালানরা। প্রথম ২২ মিনিটে গোলের জন্য ছয়টি শট নেয় বার্সেলোনা, এর তিনটি ছিল লক্ষ্যে। তবে, দারুণ দক্ষতার সঙ্গে সব শটই ঠেকিয়ে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক আলেক্স মেরেত।
পরবর্তীতে আক্রমণের ঝাপটা সামলে ঘুরে দাঁড়ায় নাপোলি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে অনেকটা সময় বল দখলে রাখলেও তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। যার ফলে গোলশূন্য অবস্থান বিরতিতে যায় দুদল।
প্রথমার্ধের ব্যর্থতা ভুলে দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি আক্রমণ করে বার্সা। যার ফল পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে লেভানডোভস্কির চমৎকার ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পেদ্রির কাছ থেকে ডি-বক্সের মাথায় বল পান তারকা স্ট্রাইকার। বাঁ পাশের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন তিনি। চলতি আসরে এটি লেভানডোভস্কির দ্বিতীয় গোল।
এরপর কয়েক দফা আক্রমণ করে নাপোলি। যার ফল হিসেবে ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে সমতা ফেরান ওসিমেন। বাঁ দিকের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। বাকি সময়ে বেশ কটি আক্রমণ করেও আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা ও নাপোলি।
আগামী ১২ মার্চ ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুদল। নিজেদের মাঠে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে পরের ধাপে যেতে বেশ আত্মবিশ্বাসী জাভি, 'এটা হতাশার যে ফলাফল খেলার অবস্থা বোঝাতে পারছে না। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট আমরা যেভাবে খেলেছি এবং যা করেছি। আমি এই স্কোয়াড নিয়ে গর্বিত। আমরা পরের লেগে কাজটা সম্পূর্ণ করতে তৈরি আছি।'