পিএসএলে ফিক্সিংয়ের গন্ধ, আছেন এক বাংলাদেশিও
‘ভদ্রলোকের খেলা’ ক্রিকেটের অন্ধকার দিকের নাম ম্যাচ ফিক্সিং! নানা সময় ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন অনেক তারকা ক্রিকেটাররা। তবুও ফিক্সিং বন্ধ হয়নি, অর্থের প্রলোভনে পড়ে নৈতিকতার বিসর্জন দিয়ে এটি চলছে দেদারসে। ফের ফিক্সিংয়ের আভাস মিলেছে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)। যেখানে চারজন সন্দেহজনক ব্যাক্তির তালিকায় আছেন এক বাংলাদেশিও।
গতকাল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলমান পাকিস্তান সুপার লিগে ফিক্সিং রোধে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সাপোর্টিং স্টাফদের প্রতি নতুন সতর্কবার্তা জারি করেছে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ।
সন্দেহের তালিকায় যে চারজন আছেন, তাদের তিনজনের একজন পাকিস্তানের সাবেক আঞ্চলিক ক্রিকেট কোচ এবং অন্য দুজন ভারতীয় আর বাকিজন বাংলাদেশি। সন্দেহভাজন চার ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও কারও নাম এখনও প্রকাশ করেনি পিসিবি। আর যদি তাদের কাউকে হোটেলে কিংবা স্টেডিয়ামে কোথাও দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে পিএসএলের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, পিএসএলের দলগুলো যে হোটেলগুলোতে থাকছে, সেখানে সাধারণ মানুষও রয়েছে। যার ফলে কেউ চাইলেই খুব সহজে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। তাই বুকিদের কাছ থেকে খেলোয়াড়দের দূরে রাখতে বাইরে থেকে খাবার অর্ডার দেওয়ার অনুমতিও দেয়নি পিসিবি।
এর আগে, ২০১৭ সালে পিএসএল চলাকালীন সময়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা ইউনিটের তত্বাবধানে স্পট ফিক্সিংয়ের একটি তদন্ত শুরু করেছিল পিসিবি। তার প্রেক্ষিতে পরে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল শারজিল খান, খালিদ লতিফ, নাসির জামশেদ, মোহাম্মদ ইরফান ও শাহজাইব হাসানের মতো ক্রিকেটারদের।