বিধ্বংসী বাটলারে রাজস্থানের রুদ্ধশ্বাস জয়

Looks like you've blocked notifications!
জস বাটলার। ছবি : বিসিসিআই

যেভাবে রানোৎসব হচ্ছে চলতি আইপিএলে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২২০ রানও নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি হলো। সুনিল নারিনের অতিমানবীয় ইনিংস ছাপিয়ে জস বাটলারের দানবীয় ইনিংসে ম্যাচ নিজেদের করে নিল রাজস্থান রয়্যালস। দিনের একমাত্র ম্যাচে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা ও রাজস্থান। শেষ বলের রোমাঞ্চে দুই উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে রাজস্থান।

ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে কেকেআর সংগ্রহ করে ২২৩ রান। জবাবে ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান করে রাজস্থান।

বড় লক্ষ্যের পিছু ছুটতে গিয়ে রাজস্থানও শুরুটা করে ধুন্ধুমার। ৯ বলে ১৯ রান করে দলীয় ২২ রানে আউট হন যশস্বী জাইসওয়াল। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। নিয়মিত বিরতিতে বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় রাজস্থান। তবে, ঢাল হয়ে দাঁড়ান ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার বাটলার। একপ্রান্ত আগলে রেখে রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্কোর এগিয়ে নেন।

বাটলারকে সঙ্গ দেন রিয়ান পরাগ ও রভম্যান পাওয়েল। পরাগ ১৪ বলে ৩৪ এবং পাওয়েল ১৩ বলে ২৬ রান করে খানিকটা সহজ করেব বাটলারের পথ। বাকিটা পথ একাই টেনেছেন এই ইংলিশম্যান৷ ওপেনিংয়ে নেমে অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। ৯টি চার ও ছয়টি ছক্কার মারে বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ৬০ বলে অপরাজিত ১০৭ রান। তাতেই ২২৩ রানের পাহাড় ডিঙিয়ে যায় রাজস্থান।

কলকাতার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন নারিন, বরুণ ও হারশিত।

এর আগে টস জিতে বোলিং বেছে নেয় রাজস্থান। শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছে দলটির বোলাররা। ২১ রানে ভাঙে কেকেআরের ওপেনিং জুটি। ১০ রান করা ফিল সল্টকে ফিরতি ক্যাচে ফেরান আভেশ খান। এরপর ওয়ানডাউনে ঘুরে দাঁড়ায় কেকেআর। নারিন ও রঘুবংশী মিলে করেন ৮৫ রানের জুটি। ১৮ বলে ৩০ রান করে রঘু ফিরে গেলেও একপ্রান্তে ঝড় তোলেন নারিন।

নারিনের দুরন্ত সব শটে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ হারায় রাজস্থান। ৫৬ বলে ১৩টি চার ও ছয়টি ছক্কার মারে ১০৯ রানের অনন্য ইনিংস উপহার দেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ১৯৪.৬৪ স্ট্রাইক রেটে খেলা নারিন শতক তুলে নেন ৪৯ বলে। তাকে থামান ট্রেন্ট বোল্ট। বোল্টের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন তিনি।

শেষ দিকে রিঙ্কু সিংয়ের ৯ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে রাঙে ইডেনের দর্শকরা। কলকাতার স্কোরবোর্ডে জমা করে বিশাল রান।

রাজস্থানের পক্ষে দুটি করে উইকেট পান আভেশ ও কুলদীপ সেন। চাহাল ও বোল্ট নেন একটি করে উইকেট।