ইউরোর ফাইনাল : ম্যাচের গতিপথ বদলাতে পারেন যারা
ইউরোপিয়ান ফুটবল মানে গতির খেলা। গতির সঙ্গে আছে কৌশল। দুইয়ের মিশেলে ফুটবলের পাওয়ার হাউজে পরিণত হয়েছে ইউরোপের দলগুলো। সেই পাওয়ার হাউজের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে স্পেন ও ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় আজ বোরবার (১৪ জুলাই) দিনগত রাত ১টায় ইউরোর ফাইনালে পরস্পর মোকাবিলা করবে দল দুটি।
দুদলের জন্যই ম্যাচটি চ্যালেঞ্জিং। এবারের আসরে সার্বিক দিক বিবেচনায় এগিয়ে আছে স্পেন। তবে, টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশরা কখনও শিরোপা না জিতলেও তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন তাই নির্ভার থাকতে পারছে না। এ ম্যাচে দুদলেই আছেন এমন কিছু খেলোয়াড়, যারা চোখের পলকে বদলে দিতে পারেন খেলার চিত্র।
স্পেনের বিস্ময়বালক লামিনে ইয়ামালই কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। ইউরোতে ইয়ামাল চমক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা ফুটবল দুনিয়াকে। যেমন তার গতি, তেমন তার বল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হতে পারে স্প্যানিশদের রণকৌশল। ফুয়েন্তের মূল ট্রাম্পকার্ড তিনিই। তিন গোল করে আসরে যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতা দানি ওলমো। ফাইনালে তার পায়ে আরও একবার তাকিয়ে থাকবে স্পেন। দানি কার্ভাহাল আর আলভারো মোরাতার মতো অভিজ্ঞ সেনারা তো আছেনই লা রোজা শিবিরে।
ইংল্যান্ডের কথা যদি বলতে হয়, সবার আগে আসবে অধিনায়ক হ্যারি কেইনের নাম। সময়ের অন্যতম সেরা এই ফরোয়ার্ড প্রতিপক্ষের গোলমুখে রীতিমতো ত্রাস। চলমান ইউরোতেও তার গোল তিনটি। ফাইনালে তাকে আটকাতে বেশ হিমশিম খেতে হবে স্প্যানিশ রক্ষণভাগকে। যদিও, সবচেয়ে বেশি বেগ বোধহয় পোহাতে হবে জুড বেলিংহামকে নিয়ে। ইয়ামালের যোগ্য জবাব তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে গত মৌসুমে যা করেছেন, এগিয়ে আছেন ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে। অল্প সময়েই বেলিংহাম হয়ে উঠেছেন বিগ ম্যাচ প্লেয়ার।
এর বাইরে দুদলের ২২ জনের যে কেউই হতে পারেন ম্যাচের নায়ক। একটি দুরন্ত শট, চমৎকার ভলি যেমন গোলে রূপান্তর হতে পারে, তেমনিভাবে দুর্দান্ত ডাইভে গোল ঠেকিয়ে নায়ক হতে পারেন গোলরক্ষকেরাও।