রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট
কাছে গিয়েও লিড নিতে পারেনি বাংলাদেশ
তৃতীয় দিনের শুরুটা হয়েছিল হতাশায়। ১০ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশের সামনে যে বিপদ অপেক্ষায় ছিল, তা হয়ত ভাবতে পারেননি খোদ ক্রিকেটাররা। স্কোরবোর্ডে ২৬ রান তুলতেই নেই ছয় উইকেট। ফলোঅন তো বটেই, চোখ রাঙাচ্ছিল লজ্জা। ৫০ রানের আগে না অলআউট হয় বাংলাদেশ!
সেটি হতে দেননি লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। লিটনের বুক চিতিয়ে করা লড়াকু শতক এবং মিরাজের চমৎকার অর্ধশতকে এগিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সঙ্গে সমানে সমান সফররতরা। ৭৮.৪ ওভারে ২৬২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তান পায় ১২ রানের লিড।
আগের দিনের ১০ রান নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তবে, টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে খুররাম শাহজাদের বলে এক রানে বিদায় নেন ওপেনার জাকির হাসান। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ১০ রান করে বোল্ড হন খুররামের বলেই। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে চার রান, বোল্ড করেন খুররাম।
মীর হামজার বলে মাত্র তিন রান করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব আল হাসানকে বোল্ড করেন খুররাম, তার ব্যাট থেকে আসে মোটে দুই রান। খুররামের বোলিং তোপে দিশেহারা বাংলাদেশকে এরপর টেনে তোলেন লিটন ও মিরাজ। ঠান্ডা মাথায় ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন দুজন। সপ্তম উইকেটে গড়েন ১৬৫ রানের ঝলমলে জুটি।
দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে আবার বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই খুররামের জোড়া আঘাতে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। নিজের বলে ফিরতি ক্যাচে মিরাজকে ফেরান খুররাম। ইনিংসে এটি তার পঞ্চম শিকার। ভাঙে সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ১২৪ বলে ১২টি চার ও এক ছক্কায় ৭৮ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। মিরাজকে ফেরানো খুররাম লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন আহমেদকে। এক রান আসে তাসকিনের ব্যাট থেকে।
পরের গল্পটা লিটনময়। একপ্রান্তে ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন তিনি। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। তার ব্যাটেই বাংলাদেশ লিডের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। সেটি পূরণ হয়নি লিটনের আউটে। আগা সালমানের বলে সাইম আইয়ুবের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। তার আগে ২২৮ বলে ১৩টি চার ও চারটি ছক্কায় ১৩৮ রান করেন লিটন। শেষ অবধি বাংলাদেশ থামে ২৬২ রানে।
পাকিস্তানের পক্ষে ৯০ রানে খুররাম ছয়টি এবং দুটি করে উইকেট পান হামজা ও সালমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ২৬২/১০ (সাদমান ১০, জাকির ১, শান্ত ৪, মুমিনুল ১, মুশফিক ৩, সাকিব ২, লিটন ১৩৮, মিরাজ ৭৮, তাসকিন ১, হাসান ১৩*, নাহিদ ০ ; হামজা ১৬-১-৫০-২, খুররাম ২১-৩-৯০-৬, আলী ৭-২-২০-০, আবরার ৩১-৫-৮৩-০, সালমান ৩.৪-০-১৩-২)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস : ২৭৪/১০।