পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের সিরিজে বাংলাদেশের যত রেকর্ড
প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর বাংলাদেশের জন্য জয়ের স্বপ্ন দেখাটা দুঃসাধ্য ছিল। তবে, সেই অসম্ভব পথটাকে সহজ করেই রাওয়ালপিন্ডিতে ইতিহাস গড়ল নাজমুল শান্তর দল। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। এমন স্মরণীয় সিরিজে বেশকিছু রেকর্ড গড়েছে সফরকারীরা।
১. সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে হারিয়ে তারা ভাগ বসাল ১৩৭ বছরের পুরনো রেকর্ডে। প্রথম ইনিংসে এত অল্প রানে ৬ উইকেট খোয়ানোর পরও কোনো দলের জয় টেস্ট ক্রিকেটে দেখা গিয়েছিল সেই ১৮৮৭ সালে। অর্থাৎ ১৩৭ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাল বাংলাদেশ। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে তারা অলআউট হয়ে গিয়েছিল স্রেফ ৪৫ রানেই। তারপরও অজিদের জয়ের জন্য ১১১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ১৩ রানে ম্যাচ জিতেছিল সফরকারীরা।
২.পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা দ্বিতীয় দল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তান সফরে ৩-০ ব্যবধানে জেতে ইংল্যান্ড।
৩.টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়া করে জিতল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে, সেটা অবশ্য গ্রানাডায় ২০০৯ সালে।
৪. টেস্টে সাতবার ২১৫ বা এর কম রানের লক্ষ্য পেয়ে সাতবারই জিতেছে বাংলাদেশ। টেস্টে এটি বাংলাদেশের একুশতম জয়। আর দেশের বাইরে অষ্টম।
৫.আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড ছাড়া অন্য ৯টি দলের কাছেই ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারের স্বাদ পেল পাকিস্তান। ঘরের মাঠে টানা ১০ টেস্টে জয়হীন পাকিস্তান। একুশ শতকে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ ছাড়া ঘরের মাঠে এত ম্যাচে জয়হীন থাকেনি আর কোনো দল।
৬.২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর আরও ২৩৬ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। শতকরা হিসেবে যা ইনিংসের ৯০.০৮ শতাংশ। টেস্টে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর শতকরা হিসাবে এটিই সর্বোচ্চ। পেছনে পড়েছে ১৮৮৮ সালে গড়া অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড (৯০.০০%)। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আরও ৬৩ রান যোগ করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
৭.টেস্টে ৫০ রানের কমে প্রথম ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ১১৫। ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের আবদুল রাজ্জাক ও কামরান আকমলের। টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রাওয়ালপিন্ডিতে আগের টেস্টেই মুশফিক-মিরাজ করেছিলেন ১৯৬।