ক্যারিবীয়দের মাঝারি লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
এই উইকেটে ১৮০ রান করা সম্ভব—টসের আগে ঠিক এমনটাই বলেছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। তবে, উইকেট চিনতে যে ভুল করেছে বাংলাদেশ, তার প্রমাণ মিলল ব্যাটিংয়ে। ব্যাটারদের ছন্দহীনতা ও ক্যারিবীয়দের বোলিং তোপে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ।
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নেস ভেলে স্টেডিয়ামে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি ৪৩ রান করেছেন সৌম্য সরকার।
ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে অহেতুক শটে বোল্ড হয়ে ফেরেন তানজিদ। বলের লাইনে যেতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার, ওই শট খেলার মতো লেংথেও ছিল না। ভাঙে ১৫ রানের শুরুর জুটি। ১১ বলে ৬ রান করেন তানজিদ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লিটন দাস। তবে, একবলের বেশি টিকতে পারেননি লিটন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে সফরকারীরা। বিভীষিকার ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টিতেও রানের দেখা পাচ্ছেন না লিটন।
লিটনের পর আরেক ব্যাটার আফিফ হোসেনও হতাশ করেন। দলীয় ৩০ রানের মাথায় রোস্টন চেইসের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যান ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন আফিফ হোসেন। ফেরার ম্যাচে বাঁহাতি ব্যাটার করেন দুই চারে ১১ বলে ৮ রান।
এরপর জাকেরকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন সৌম্য। এই জুটিতে যোগ হয় ৫৭ রান। দলীয় ৮৭ রানের মাথায় রোমারিও শেফার্ড এর বল লং অনের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে পাওয়েলের হাতে ধরা পড়েন জাকের। এতে ভাঙে ৪২ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি। ২৭ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৭ রান করেন জাকের।
জাকেরের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি সৌম্য। বেঁচে যাওয়ার পর আর তেমন কিছু করতে পারলেন না সৌম্য। ওবেদ ম্যাকওয়ের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। স্লোয়ার বল বুঝতেই পারেননি সৌম্য। শট খেলে ফেলেন অনেক আগে। বল আঘাত হানে স্টাম্পের চূড়ায়। ৩২ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৪৩ রান করেন সৌম্য।
এরপর শেখ মেহেদীর সঙ্গে যোগ দিয়ে আগ্রাসী ব্যাট চালান শামীম হোসেন পাটোয়ারি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৮ বলে আসে ৪৯ রান। মাত্র ১৩ বলে ১ চার, ৩ ছক্কায় ২৭ রান করেন শামীম। শেষ ওভারে আরেক ছক্কার চেষ্টায় ওবেদ ম্যাককয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টি-টোয়েন্টির পর আজই প্রথম জাতীয় দলের হয়ে নামলেন শামীম হোসেন। একবছর পর ফিরেই নিজেকে প্রমাণ কররেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে ৯টিতেই জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৫ জয় বাংলাদেশের। দুই দলের মধ্যে ৭টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ৪টি জিতেছে ক্যারিবীয়ানরা। বাংলাদেশের সিরিজ জয় ২টি, ড্র হয়েছে একটি। পরিসংখ্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষেই কথা বলছে। দেখার বিষয় এই পুজি নিয়ে কতটা লড়াই করতে পারে বাংলাদেশ।