ফাইনালে উঠতে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পেল চিটাগং

জিতলেই ফাইনাল, হারলেই বাদ; এমন এক কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়ে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা টাইগার্স। গুরুত্বপূর্ণ এমন ম্যাচে শুরুতে ব্যাটাররা ছন্দ হারালেও শেষদিকে অঙ্কন-হেটমায়ারের ব্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মেহেদী মিরাজের দল। ফাইনাল নিশ্চিতে চিটাগংয়ের চাই ১৬৪ রান।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তোলে খুলনা। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন ক্যারিবীয় ব্যাটার শেমরন হেটমায়ার। আর চিটাগংয়ের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ২ টি উইকেট নেন বিনুরা ফার্নান্দো।
ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। দলীয় ১০ রানের মাথায় ফেরেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬ বলে মাত্র ২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর আরেক ব্যাটার অ্যালেক্স রস ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণে ব্যর্থ। মিরাজের সমান ৬ বল খেললেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।
শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে খুলনা। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও আফিফ হোসেন মিলে দলের বিপর্যয় সামালের চেষ্টা করেন। আফিফের বিদায়ে সেই জুটিও বড় হয়নি। ১৪ বলে ৮ রান করেন আফিফ। আর নাঈম ফেরেন ২২ বলে ১৯ করে। ৪২ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলা খুলনা ঘুঁরে দাঁড়ায় হেটমায়ার ও অঙ্কনের ব্যাটে।
এই দুই ব্যাটার মিলে রানের গতি সচল রাখার পাশাপাশি লড়াকু সংগ্রহের দিকে মনোযোগ দেন। ৪৩ বলে গড়েন ৫০ রানের জুটি। তাতেই বিপর্যয় কাটিয়ে ম্যাচে ফেরেন দলটি। ব্যক্তিগত ৩৮ রানের মাথায় একবার জীবন পান অঙ্কন। উইকেটের আরেক প্রান্তে থাকা হেটমায়ার ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকেন। শেষমেশ ৩২ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন অঙ্কন। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৯ বলে ৭৩ রানের জুটি। শেষওভারে হেটমায়ার ফিরলেও চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য গড়েই মাঠ ছাড়েন হোল্ডার।