শিরোপা ধরে রাখতে বরিশালের সামনে রানের পাহাড়
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/07/bppl.jpg)
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই বড় স্কোরের প্রত্যাশা সবার। সমর্থকদের সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে না পারলেও ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাজিমাত চিটাগং কিংসের। দুই ওপেনার ইমন-নাফের গড়া ভিতেই বড় সংগ্রহ গড়েছে দলটি। টানা দ্বিতীয় ট্রফি জিততে বরিশালের চাই ১৯৫ রান।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৯৪ রান তোলে চিটাগং। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন। বরিশালের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় একটি উইকেট নেন এবাদত হোসেন। মোহাম্মদ আলী নেন একটি।
বরিশাল অধিনায়ক তামিমের বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করেন চিটাগংয়ের দুই ওপেনার খাজা নাফে ও পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম ৩ ওভারে ২৩ রান নেওয়া চিটাগং কিংসের রান রেট পরের ওভারে দশে নিয়ে গেলেন পারভেজ হোসেন। বাঁহাতি স্পিনার তানভির হোসেনের বলে এক চার ও দুই ছক্কায় নিলেন ১৮ রান।
কাইল মেয়ার্সের আগের ওভারে পরপর দুই চার মেরে ডালা মেলেন পারভেজ। পরের ওভারে তানভিরের বলে সুইপার কাভার দিয়ে মারেন চার। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক ফিরে পেয়ে স্লগ সুইপে ৯৩ মিটার দীর্ঘ ছক্কা মারেন ডিপ মিডউইকেট দিয়ে। পরের বলে লং অফ দিয়ে মারেন আরেকটি। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯৩ রান তোলে চিটাগং।
এরপর ৩০ বলে ফিফটি পূরণ করেন ইমন। বাঁহাতি এই ব্যাটারের পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাফে। অবশ্য ফিফটি পূরণের পর বেশিক্ষণ টেকেননি এই ব্যাটার। দলীয় ১২১ রানের মাথায় বরিশাল পেসার এবাদত হোসেন বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ৪৪ বলে ৬৬ রানের কার্যকরী ইনিংস।
নাফের বিদায়ের পরও চিটাগংয়ের রানের চাকা থেমে থাকেনি। গ্রাহাম ক্লার্ককে সঙ্গী করে ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন ইমন। দলীয় ১৯১ রানের মাথায় রানআউট হয়ে ফেরেন ক্লার্ক। ২৩ বলে ৪৪ রান করেন ডাহাতি এই ব্যাটার। শেষমেশ ১৯৪ রানে থামে চিটাগং। প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেতে এবার দায়িত্ব নিতে হবে দলটির বোলারদের।