বোলিংয়ে ভালো শুরু বাংলাদেশের

প্রথম ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতা রাওয়ালপিন্ডিতেও টেনে এনেছে বাংলাদেশ। কিউই পেসারদের গতি সামলে অল্প পুঁজি নিয়েই দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ-নাহিদ রানারা।
২৩৭ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। টানা ৫ বল ডট দেবার পর ওভারের শেষ বলে উইল ইয়ংকে ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। রানের খাতাও খুলতে পারেননি কিউই ওপেনার।
বাংলাদেশের পরের শিকার কেইন উইলিয়ামসন। ওয়ানডাউনে নামা উইলিয়াম পরাস্থ হন নাহিদের গতির কাছে। ৪ বলে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি সাবেক এই কিউই অধিনায়ক। সবমিলিয়ে ১৫ রানে নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে ভালো শুরু করেছে বাংলাদেশ।
এর আগে চিরায়ত ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রর্দশনীতে বাংলাদেশ পারেনি বড় সংগ্রহ গড়তে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে বাংলাদেশ তোলে ২৩৬ রান।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তুলনামূলক ভালো শুরু এনে দিয়েছেন ওপেনাররা। ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি আসে তানজিদ তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। প্রথম ম্যাচের পর আজও বড় কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়ে বিদায় নেন তামিম। মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে তেন তিনি। ২৪ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৪ রান করা তামিমের ক্যাচ লুফে নিতে ভুল হয়নি কেইন উইলিয়ামসনের।
ওয়ানডাউনে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ সঙ্গ দিচ্ছিলেন শান্তকে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। উইলিয়াম ও’রোর্কের বলে লেগে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ। ১৪ বলে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা হৃদয় হয়েছেন চূড়ান্ত ব্যর্থ। ২৪ বল খেলে করেন ৭ রান। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে করা ব্রেসওয়েলের ডেলিভারিটি টেনে শট নেন হৃদয়। উড়ন্ত বলটি মাটিতে পড়ার আগে কাভারে লুফে নেন উইলিয়ামসন। শতরান স্পর্শ করার আগে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখাতে পারতেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু, এদিনও তিনি ব্যর্থ। মাত্র ২ রান করে ব্রেসওয়েলের শিকার হন তিনি। ডিপ মিডে ক্যাচ নেন রাচিন রবীন্দ্র। চোট কাটিয়ে সুযোগ পাওয়া মাহমুদউল্লাহ দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন। ৪ রান করে তিনিও বিদায় নেন ব্রেসওয়েলকে উইকেট বিলিয়ে। ১১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হঠাৎ বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করছিলেন শান্ত ও জাকের আলী অনিক। ব্যাট হাতে অনেকদিন পর নিজেকে খুঁজে পাওয়া শান্ত খেলেছেন ৭৭ রানের দারুণ ইনিংস। ১১০ বলে ৯টি চারে সাজানো ৭৭ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসটি থামে উইল ও’রোর্কের শিকার হয়ে। মিডউইকেটে ক্যাচটি নেন ব্রেসওয়েল। ৫৫ বলে ৪৫ রান করে রানআউটের দুর্ভাগ্যে কাটা পড়েন জাকের। জাকের সঙ্গে মিলে লোয়ার অর্ডারে রিশাদ হোসেন খেলেন ২৫ বলে ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস। তাকে সাজঘরে ফেরান ম্যাট হেনরি।