ড্রোন নিয়ে দুশ্চিন্তা, ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রস্তুতকারীরা
আকাশপথে বিমান ও হেলিকপ্টারচালকদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে ড্রোন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৯২১টি ড্রোনঘটিত দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ড কলেজের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকরাডারের একটি প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এসব দুর্ঘটনার প্রায় ৯০ শতাংশ ঘটেছে মাটি থেকে ৪০০ ফুটেরও ওপরে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)-এর গাইডলাইন অনুযায়ী ৪০০ ফুটের ওপর কোনো ড্রোন প্রবেশ করার অনুমতি নেই।
তা ছাড়া দুর্ঘটনাগুলো বেশির ভাগ ঘটছে বিমানবন্দরের পাঁচ মাইল দূরত্বের মধ্যে, যা কিনা এফএএর নিয়ম অনুযায়ী নো-ফ্লাই জোন হিসেবে স্বীকৃত। ড্রোনমালিকদের এ রকম নিয়ম ভাঙ্গার প্রবণতা এফএএকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
বার্ড কলেজের গবেষকরা বলছেন, ‘আমাদের করা গবেষণা থেকে আমরা দেখতে পারছি বেশির ভাগ দুর্ঘটনা এমন জায়গাগুলোতে ঘটছে, যেখানে বিমান চলাফেরা করার কথা এবং ড্রোন প্রবেশ করার অনুমতি নেই।’
ক্রিসমাস উপলক্ষে ড্রোন কেনার ধুম দেখে গবেষকরা ক্রেতাদের ড্রোন কেনার আগে তাঁদের করণীয়গুলো দেখে নিতে আহ্বান জানাচ্ছেন।
প্রায় একই রকম নির্দেশনা রয়েছে যুক্তরাজ্যের ড্রোনমালিকদের জন্যও। তাঁদের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ড্রোনচালকদের জন্য ৪০০ ফুট সর্বোচ্চ উচ্চতা, বিমানবন্দর থেকে নিরাপদ দূরত্ব এবং অন্য যেকোনো কিছু (যেমন : মানুষ, যানবাহন, দালান, কাঠামো ইত্যাদি) থেকে ন্যূনতম ৫০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন।
তবে বার্ড কলেজের গবেষকরা এসব নিয়ম-কানুন মনে রাখার জন্য ড্রোন পাইলটদের ‘রিমাইন্ডার’ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে এই বিপদের কথা মাথায় রেখেছে ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। তারা ড্রোনকে আরো নিরাপদ এবং ঝামেলাবিহীনভাবে চালানোর জন্য প্রযুক্তি আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘জিও-ফেসিং সফটওয়্যার’ যার মাধ্যমে চালক নয়, ড্রোন নিজেই তার বেঁধে দেওয়া জায়গার মধ্যে বিচরণ করবে এবং যেখানে যাওয়ার অনুমতি নেই, সেখানে চালক চাইলেও ড্রোন প্রবেশ করবে না।