অর্ধেক যন্ত্র, অর্ধেক গুবরে পোকা
উড়ে বেড়াচ্ছে একটি গুবরে পোকা। দূর থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে এর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছেন গবেষকরা। বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নয়, বাস্তবেই গবেষকরা যন্ত্রপাতি যুক্ত করে তৈরি করেছেন সাইবর্গ গুবরে পোকা। সাইবর্গ হলো অর্ধেক জৈব, আর বাকিটা যন্ত্র।
প্রথমবারের মতো সাইবর্গ গুবরে পোকাকে আকাশে ওড়ানো হয়েছে। গবেষকরা গুবরে পোকার পিঠে একটি বৈদুত্যিক যন্ত্র বসিয়েছেন। এতে দূর থেকে সংকেত পাঠান গবেষকরা। ওই সংকেত গোবরে পোকার পিঠে থাকা যন্ত্রে পৌঁছে। পোকাটি নির্দেশ অনুযায়ী পথে চলে। গবেষকরা বর্তমানে দূর নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে সাইবর্গ গুবরে পোকার ওড়া শুরু করা, নেমে আসা এবং ওড়ার সময় ডান-বাম দিক পরিবর্তন এবং ওপর-নিচ করা যায়।
সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক গুবরে পোকাকে যন্ত্রাংশ যুক্ত করার গবেষণা করেন। এতে নেতৃত্ব দেন সিঙ্গাপুরের গবেষক হিরোটাকা সাতো। এ সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘কারেন্ট বায়োলজি’।
গুবরে পোকাকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকরা বলেন, এই পোকা অন্য যেকোনো পোকার তুলনায় বেশি ওজন বহন করতে পারে।
গবেষকরা আশা করেন, গুবরে পোকার পিঠে থাকা যন্ত্রপাতির উন্নয়ন করা হলে এর মাধ্যমে পোকা দিয়ে ড্রোন তৈরি করা যাবে। আর এর মাধ্যমে অনুসন্ধান চালানো যাবে অতি ক্ষুদ্র স্থানে। এ ছাড়া ধরে পড়া ভবনের অনুসন্ধানের কাজেও এই ক্ষুদ্র সাইবর্গ ড্রোন ব্যবহার করা যাবে।