ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা
গুরুতর অভিযোগ এনে ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক কর্মী। ২০১৩ সালে চাকরিচ্যুত হওয়া চিয়া হংয়ের অভিযোগ, ফেসবুকের অভ্যন্তরে রয়েছে বাড়াবাড়ি রকমের লিঙ্গবৈষম্য, যৌন নিপীড়ন ও জাতিবৈষম্য। ২০১০ সালে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে ফেসবুকে যোগ দিয়েছিলেন চিয়া হং।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানিয়েছে, নিজের সাবেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গত সোমবার স্যান মাটিওর একটি আদালতে ১১টি অভিযোগে মামলা করেছেন চিয়া হং। এর মধ্যে রয়েছে যৌন নিপীড়ন, জাতি ও লিঙ্গবৈষম্যের মতো গুরুতর অভিযোগ।
সাবেক সহকর্মী আনিল উইলসনসহ আরো ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এসব সহকর্মী তাঁর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন। নারী হিসেবে শুধু ঘর ও বাচ্চাদের লালনপালন করাই তাঁর কাজ—এমন বক্তব্যও দিয়েছেন অভিযুক্ত সহকর্মীরা।
হংয়ের দাবি, অতিরিক্ত কাজের চাপ, অসহযোগিতামূলক পরিবেশ এবং সহকর্মীদের অসদাচরণ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। হং আরো অভিযোগ করেন, শুধু তাইওয়ানের নাগরিক হওয়ায় তাঁর অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো তাঁকেই সরিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নারী ও তাইওয়ানিজ হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে তাঁর চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন একজন ভারতীয় পুরুষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ হংয়ের।
মামলা সম্পর্কে ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ফেসবুক অত্যন্ত কঠোরভাবে কাজের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিশেষ করে লিঙ্গবৈষম্য এবং জাতি ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তারা সব সময়ই কঠোর।’ হংয়ের অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ তাদের হাতে আছে দাবি করে ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, ‘নিয়ম মেনেই হংকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।’