যেভাবে ভ্রমণ করবেন মেট্রোরেলে

বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে মেট্রোরেল। আমাদের দেশেও কিছুদিন আগে চালু হয়েছে মেট্রোরেল। বর্তমানে মেট্রোরেল আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি পর্যন্ত চলাচল করছে। এর মাঝে কিছু স্টেশন রয়েছে। তবে এখন আপনি মিরপুরের পল্লবী ষ্টেশন থেকে নামতে ও উঠতে পারবেন। বর্তমানে মেট্রোরেল সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চলাচল করছে প্রতিদিন। তবে সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার। ছুটির দিনে ভোরের ফাঁকা ঢাকা দেখতে ঘুরে আসতে পারেন মেট্ররেলে করে। মেট্ররেলে চড়ে আপনি পাবেন অসাধারণ অভিজ্ঞতা ও আধুনিক ঢাকা দেখার এক অপূর্ব সুযোগ।
টিকিট সংগ্রহ:
গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য টিকিট কাটার দু’টি পদ্ধতি রয়েছে সিঙ্গেল বা একক ও পার্মানেন্ট । টিকিট সংগ্রেহর আগে যাত্রীকে প্রথমে মনিটরে ভাষা নির্বাচন করতে হবে। ইংরেজি ও বাংলা দু’টি ভাষা রয়েছে, যে ভাষায় আপনি স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করবেন সেটা নির্বাচনের পর একক বা পারমানেন্ট (এমআরটি পাস) নির্বাচন করতে হবে। এরপর আসবে গন্তব্যের তালিকা। কোনো স্টেশন পর্যন্ত কত ভাড়া সে তালিকা থাকবে। সেখান থেকে যাত্রীকে গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর কয়টি টিকিট সংগ্রহ করবেন সে তালিকা আসবে। এরপর প্রয়োজনীয় টিকিট, গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করে “ওকে” বাটকে টাচ করলেই মেশিন টাকা দিতে বলবে। টাকা দেওয়ার পর টিকিট বা এমআরটি পাস বেরিয়ে আসবে। এই পদ্ধতি অনুসরন করে মেট্রোরেলের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। একজন যাত্রী একবারে ৫টির বেশি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন না।
স্মার্ট কার্ডের ব্যবহার:
এমআরটি পাস পদ্ধতিতে একটি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে যতবার খুশি যাতায়াত করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে কার্ডটি সময়মতো রিচার্জ করে রাখতে হবে। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করে নিতে পারবেন। প্রত্যেক মেট্রো স্টেশনে থাকা টিকিট ভেন্ডরের মেশিনের মাধ্যমেই রিচার্জ করা যাবে। টিকিট সংগ্রহ করে যেতে হবে তৃতীয় তলায়।
টিকিট চেকইন:
যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তিন ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে প্রতিটি স্টেশনে। সিঁড়ি, এস্কেলেটরের পাশাপাশি বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য রাখা হয়েছে লিফট। দ্বিতীয় তলা থেকে টিকিট সংগ্রহ শেষ করে সিঁড়ি বা লিফটের মাধ্যমে পৌঁছাতে হবে তৃতীয় তলায়। টিকিট চেকইনের বিষয়টি দ্বিতীয় তলাতেই শেষ করা হবে। টিকিট চেক হবে ডিজিটালি। সেখানে কোনো কর্মীর প্রয়োজন হয় না। যদি কেউ না পারেন তাহলে নিরাপত্তা কর্মীরা যাত্রীদের সহযোগিতা করবেন।
উঠে পড়ুন মেট্রোরেলে:
তৃতীয় তলাতেই মেট্রোর মূল প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট সময় পর পর ট্রেন এসে থামবে। অটোমেটিক দরজা খুলে যাবে। যাত্রীরা নামবেন, আপনি উঠবেন। গন্তব্য স্টেশনে ট্রেন থামলে যাত্রীরা এমআরটি পাস পাঞ্চ করলেই দরজা খুলে যাবে এরপর বেরিয়ে যেতে পারবেন। সিঙ্গেল এন্ট্রির কার্ডে ভ্রমণের মেয়াদ একবার। আর দশ বছর মেয়াদি কার্ডের যাত্রীরা বার বার ভ্রমণ করতে পারবেন। ভ্রমণের দূরত্বে ভাড়া অনুযায়ী অটোমেটিক টাকা কেটে নেবে