পূজায় ঘুরে আসুন গঙ্গাসাগর দীঘি থেকে
ঢাকার অতি প্রাচীন একমাত্র দীঘিটির নাম গঙ্গাসাগর। স্থানীয়ভাবে এটি ‘রাজারবাগ কালীমন্দির’ নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে, ষোড়শ শতাব্দীর শেষ দিকে সম্রাট আকবরের সেনাপতি বাংলা বিজয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকার পূর্ব প্রান্তে এসে তাঁবু ফেলেন। তিনি সেখানে গঙ্গাসাগর নামে একটি দীঘি খনন করেন। ঈশা খাঁকে পরাজিত করার উদ্দেশ্যে বর চেয়ে দীঘির পূর্ব পাশে একটি কালীমন্দির নির্মাণ করেন। এর পর থেকে এর নাম হয় বরদেশ্বরী কালীমন্দির। আসছে পূজায় আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন বরদেশ্বরী কালীমন্দির ও গঙ্গাসাগর দীঘি থেকে।
যা দেখবেন
বাসাবোর পূর্ব প্রান্তে কদমতলীর সবুজবাগে অবস্থিত দীঘিটির দেখা মিলবে রাজারবাগ শ্রীশ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরের সঙ্গে। মন্দিরের ফটক পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বিশাল এই দীঘি। নানা ধরনের গাছগাছালিতে আকীর্ণ দীঘিটির পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে আছে ছোট-বড় আরো অনেক মন্দির। দীঘিটি ক্রমেই হয়ে ওঠে তীর্থক্ষেত্র। পুণ্য লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মানুষ অষ্টমী স্নান, বারুণী স্নান উপলক্ষে এখানে এসে স্নানপর্ব শেষ করেন। তা ছাড়া প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে এ দীঘিতে স্নান করে মনস্কামনা ব্যক্ত করেন। পরবর্তী সময়ে দীঘিটিকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয় বেশ কিছু মন্দির। এসব মন্দিরের মধ্যে আছে শ্রীশ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, শিবমন্দির, শীতলা মন্দির, বিশ্বকর্মা মন্দির, লোকনাথ মন্দির ইত্যাদি। দীঘির উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে একটি শ্মশান ও শ্মশান কালীমন্দির। গঙ্গাসাগর দীঘির পরিমাপ প্রায় ৪.৫ একর। উত্তর-দক্ষিণ লম্বালম্বি এ দীঘির তিনটি ঘাট রয়েছে। দুটি পূর্ব দিকে, একটি উত্তর দিকে। এর সীমানাপ্রাচীর রয়েছে তিন দিকে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনাকে আসতে হবে রাজারবাগে। সেখান থেকে যে কাউকে বললেই দেখিয়ে দেবে গঙ্গাসাগর দীঘি/বরদেশ্বরী কালীমন্দির। মতিঝিল থেকে রিকশা ভাড়া নেবে ১০০ টাকা।