ইইউর ২৬ দেশে আপাতত ভ্রমণের সুযোগ নেই বাংলাদেশিদের?
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৬টি দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে আগামী জুলাই মাসে। তবে এসব দেশে আপাতত প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশের নাগরিকরা।
কোনো রাজনৈতিক কারণ নয়, বরং করোনাভাইরাস পরিস্থির কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। তবে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের সুযোগ পাবে ৫৪টি দেশের নাগরিকরা। সেই দেশগুলোর নামের একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে ইইউর অফিশিয়াল সাইট।
যে ৫৪টি দেশের নাগরিকরা শেনজেন কান্ট্রিসে ভ্রমণ করতে পারবে সে দেশগুলো হলো : আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, অ্যান্ডোরা, অ্যাঙ্গোলা, অস্ট্রেলিয়া, বাহামাস, ভুটান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, চীন, কোস্টারিকা, কিউবা, উত্তর কোরিয়া, ডোমিনিকা, মিসর, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গিয়ানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জামাইকা, জাপান , কাজাখস্তান, কসোভো, লেবানন, মরিশাস, মোনাকো, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনিগ্রো, মরোক্কো, মোজাম্বিক, মিয়ানমার, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিকারাগুয়া, পালাউ, প্যারাগুয়ে, রুয়ান্ডা, সেন্ট লুসিয়া, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, উগান্ডা, ইউক্রেন, উরুগুয়ে, উজবেকিস্তান, ভ্যাটিকান সিটি, ভেনিজুয়েলা, ভিয়েতনাম ও জাম্বিয়া।
ইইউর ২৬ দেশ নিয়ে তৈরি ব্লককে ‘শেনজেন কান্ট্রিস’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জুলাইয়ের শুরু থেকে এসব দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। এ সময়ে এসব দেশে প্রবেশের ভিসা বৈধ হবে ৫৪টি দেশের জন্য। আর সেই দেশগুলোর তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম, খবর ইউরো নিউজ।
শেনজেন বলতে বোঝানো হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাসপোর্ট-ফ্রি জোন। এর অধীনে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশ।
শেনজেনভুক্ত দেশগুলো হলো-অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিচেটেনস্টেইন, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালটা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড।
এসব দেশে যেকোনো ব্যক্তিকে শেনজেনভুক্ত এলাকার যেকোনো সদস্যদেশে সফর করতে দেওয়া হয়। এই শেনজেন জোনে কোনো সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে সেখানে প্রবেশের বিষয়ে সর্বশেষ সরকারি বিবৃতি এ সপ্তাহের পরের দিকে ঘোষণা করার কথা। ধারণা করা হচ্ছে, তা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিটি দেশের মহামারি পরিস্থিতি এবং করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা, বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হয়েছে কি না- এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এই দেশগুলোর তালিকা আপডেট করা হবে।
এদিকে ১১ই জুন এ বিষয়ক কমিশন শেনজেন সীমান্ত ১৫ জুন খুলে দেওয়ার বিষয়ে তাদের সুপারিশ উত্থাপন করে, যাতে ইউরোপিয়ানরা অবাধে সীমান্তের পরোয়া না করেই মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারে, যেমনটা তারা করত মহামারির আগে।