ইউক্রেনের ২ অঞ্চল পরিদর্শনে পুতিন, করলেন সেনা বৈঠক
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকা দুটি অঞ্চল পরিদর্শনে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় বাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে আর্টিলারি বোমা নিক্ষেপ ও আকাশ পথে হামলার আরও বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। আজ মঙ্গবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
পুতিনের পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ, সোমবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চল খেরসনে গিয়েছিলেন পুতিন। সেখানে সামরিক বাহিনীর একটি বৈঠকে অংশ নেন পুতিন। একই দিনে পূর্ব লুহানস্কের একটি জাতীয় রক্ষী সদর দপ্তর পরিদর্শন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
খেরসনে নিযুক্ত রাশিয়ার এয়ারবোর্ন সেনা কমান্ডার, দিনিপার আর্মি গ্রুপ এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুতিন। এ সময় সামরিক কর্মকর্তারা পুতিনকে খেরসন এবং জাপোরিঝিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনের দুই অঞ্চলে পুতিনের সফরের সময় তার সঙ্গে ছিল না প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বা জেনারেল স্টাফের প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ।
পুতিনের এই সফরকে ‘বিশেষ’ আখ্যা দিয়ে উপহাস করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অধিকৃত অঞ্চলে গণহত্যা চালানো ব্যক্তি শেষবারের মতো অঞ্চলটিতে এসেছে। নিজের অপরাধগুলো উপভোগ করতে তিনি এসেছিলেন। তবে, এটাই শেষবারের মতো।’
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তারা যুদ্ধাপরাধ করছে বলে অভিযোগ করছে কিয়েভ ও পশ্চিমারা। তবে, অভিযোগটি অস্বীকার করে আসছে মস্কো।
গত সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় রাশিয়া। এসব অঞ্চলের আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূমির প্রায় ১৫ শতাংশ। এ দখলকে বৈধতা দিতে অঞ্চল চারটিতে কথিত গণভোটের আয়োজন করেছিল মস্কো। কিন্তু, ওই গণভোটকে কিয়েভসহ পশ্চিমারা স্বীকৃতি দেয়নি।
গত নভেম্বরে আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন শহর থেকে পিছু হটেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের জন্য দিনিপ্রো নদীর তীরে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে তারা।