ইথিওপিয়ায় বিশ্ব ঐতিহ্যের লালিবেলা শহর তিগ্রেই বিদ্রোহীদের দখলে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/08/06/ess52_dwaaeyxjm.jpg-large.jpg)
ইথিওপিয়ার তিগ্রেই অঞ্চলের সশস্ত্র বাহিনীগুলো ঐতিহ্যবাহী লালিবেলা শহরের দখল নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দুই প্রত্যক্ষদর্শী। তিগ্রেই বাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেখানকার বাসিন্দারা পালাতে শুরু করেছে।
শহরটি পাথর কেটে বানানো কয়েকশ বছরের পুরনো গির্জার জন্য বিখ্যাত। ইথিওপিয়ার লাখ লাখ অর্থোডক্স খ্রিস্টানের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত লালিবেলার ওই গির্জাগুলো ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যেরও তালিকাভুক্ত। খবর রয়টার্সের।
তিগ্রেই বাহিনীর সঙ্গে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্রদের লড়াই এখন তিগ্রেই ছাড়িয়ে পাশের দুই অঞ্চল আমহারা ও আফারেও ছড়িয়ে পড়েছে। লালিবেলা আমহারার নর্থ ওলো এলাকায় অবস্থিত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানান, তিনি বৃহস্পতিবার কয়েকশ সশস্ত্র ব্যক্তিকে শহরটির ভেতর হাঁটতে ও তিগ্রেইয়ের ভাষায় কথা বলতে দেখেছেন। লালিবেলার বাসিন্দারা আমহারিক ভাষায় কথা বলে।
তিনি জানান, বুধবার রাতে আমহারা অঞ্চলের বাহিনী স্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমহারার বাহিনী ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনীর মিত্র।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/08/06/capture.jpg 595w)
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিগ্রেই বাহিনী আসছে এ খবর পেয়েই তিনি লালিবেলা ছেড়ে পালান।
‘আমরা প্রায় শদুয়েক লোক পায়ে হেঁটে শহর ছাড়ি,’ বলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী, দেশটির সেনাবাহিনী বা তিগ্রেই বিষয়ক সরকারি টাস্ক ফোর্সের মুখপাত্রদের তাৎক্ষণিক মন্তব্যও পায়নি তারা। তিগ্রেই বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।