ইরানের আকাশসীমায় ঢুকছে না এয়ারলাইনসগুলো
ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের ফ্লাইটগুলো। ইরাকে দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরান এক ডজনের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসব এয়ারলাইনস।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস আজ বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের ইউরোপগামী ও ইউরোপের বাইরে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলো ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন হলে বিমান রুটে যথাযথ সমন্বয় করা হবে।’
তাইওয়ানের ইভিএ এয়ারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ বুধবার ভোর থেকে তাদের ইউরোপীয় ফ্লাইটগুলো ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ফ্লাইটগুলো ‘ইরানের সংকটময় আকাশসীমা এড়িয়ে চলবে’।
এ ছাড়া ইভিএ এয়ার ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ফ্লাইটগুলো ইরাকের ওপর দিয়েও যাবে না।
এর আগে আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বা এফএএ কর্তৃপক্ষ ইরাক, ইরান, ওমান উপসাগরীয় অঞ্চলের আকাশসীমা এবং ইরান ও সৌদি আরবের জলসীমার মধ্যে মার্কিন বেসামরিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এফএএর ঘোষণার পর থেকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ও ডেল্টাসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটগুলো ইরানের ওপর দিয়ে চলাচল করছে না।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলতে তাদের এয়ারলাইনসকে নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ইউক্রেনের আকাশসীমায় ২০১৪ সালে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের এমএইচ১৭ নামে একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে বেসামরিক বিমান চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে আসছে এয়ারলাইনসগুলো।
মধ্যপ্রাচ্যে বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে ইরান ও ইরাকের আকাশসীমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। তাই এ অঞ্চলের আকাশসীমায় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এলে এয়ারলাইনসগুলোকে তাদের ফ্লাইটের যাত্রাপথ বদলাতে নির্দেশ দিতে হবে। এর ফলে বাড়তি সময়, জ্বালানি ব্যয় বইতে হবে এয়ারলাইনসগুলোকে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।