করোনা আতঙ্কে শতাধিক রোহিঙ্গাকে মুক্তি দিল মিয়ানমার
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় শতাধিক বন্দি রোহিঙ্গাকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির কারাগারগুলোতে বন্দিদের সংখ্যা বেশি থাকায় এবং করোনা আতঙ্কে গতকাল বুধবার মিয়ানমারের একটি আদালত ওই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করে নেন। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের কারণে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান নেয়। তবে যারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে যায়, তাদের ওপর কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করে দেশটির সরকার। অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা, এবং মুক্তভাবে চলাচলের ক্ষেত্রে নানা ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এটিকে ‘জাতিবিদ্বেষ’ বলে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এরই মধ্যে নৌকা ও বাসসহ বিভিন্ন উপায়ে রাখাইন থেকে পালিয়ে যায় অসংখ্য রোহিঙ্গা। সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে শতাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।
তবে করোনাভাইরাস আতঙ্কে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া দুটি রোহিঙ্গা দলের ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করেন মিয়ানমারের একটি আদালত।
মিয়ানমারের আইয়ারওয়াদী অঞ্চলের পাথেইন আদালতে বিচারক খিন মায়াত মায়াত বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের (রোহিঙ্গা) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাদের মুক্তি দেওয়া হবে।’
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে রোহিঙ্গাদের বহনকারী চারটি বাস পাথেইন কারাগার ছেড়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা নাগরিক এএফপিকে জানান, আরো রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিভিন্ন আদালতের মাধ্যমে মুক্তি দিয়ে রাখাইনে পাঠানোর কথা রয়েছে।
ওই রোহিঙ্গা নাগরিক আরো জানান, আগামী শনিবারের মধ্যে অন্তত ২৫০ জনকে রাখাইনে পাঠানো হতে পারে।