করোনা মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে একমত আসিয়ান নেতারা
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অগ্রাধিকার প্রদান এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের আঞ্চলিক জোটের (আসিয়ান) ৩৭তম শীর্ষ সম্মেলন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে রোববার ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নুয়েন জুয়ান ফুক জানান, কোভিড-১৯ দ্বারা উত্থাপিত চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে নেতারা একমত হয়েছেন, খবর ইউএনবির।
নুয়েন জুয়ান আরো জানান, শিগগিরই কোভিড মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এবং আর্থসামাজিক জীবনকে স্থিতিশীল করতে মানুষকে সহায়তা করার জন্য বিস্তৃত পুনরুদ্ধার কাঠামো এবং এর সমন্বিত বাস্তবায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে আসিয়ান।
নুয়েন জুয়ান বলেন, আসিয়ান ও এর সহযোগীদের মধ্যে সম্পর্কের জন্য নতুন চালিকা শক্তি তৈরির অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নেতারা একমত হয়েছেন, যা বহুপাক্ষিক সহযোগিতাকে তরান্বিত করবে।
এ ছাড়া ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের শেষদিনে ‘রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)’ নামে নতুন জোট গঠনের চুক্তি হয়।
আসিয়ানের দশ সদস্য দেশের (ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনাম) সঙ্গে এই জোটে থাকছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তবে এই জোটে যোগ দেয়নি এশিয়ার অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ ভারত।
উল্লেখ, রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) নামে নতুন এই জোটের অর্থনীতির আয়তন বিশ্বের মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ। ফলে এই চুক্তির মধ্য দিয়ে তৈরি হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবাধ বাণিজ্য এলাকা।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোর মধ্যে যে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল রয়েছে সেটি বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়েও পরিধি বড় হবে এশিয়ার নতুন এই বাণিজ্য অঞ্চলটির।