কিরগিজস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০০
প্রতিবেশী দুই দেশ কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১০০ জনে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও নতুন করে সংঘর্ষ শুরুর জন্য দেশ দুটি পরস্পরকে দায়ী করেছে।
এক বিবৃতিতে কিরগিজ সীমান্ত বাহিনী জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের চালানো হামলা ঠেকানো অব্যাহত রেখেছেন তাদের সেনারা। কিছু এলাকায় তুমুল লড়াই চলছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
খবরে বলা হয়, কিরগিজস্তানের সঙ্গে সবশেষ সীমান্ত সংঘর্ষে তাজিকিস্তানের নারী ও শিশুসহ ৩৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছে। অপরদিকে কিরগিজস্তানের অন্তত ৫৯ জন নাগরিক নিহত হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৯৪। এ ছাড়া আহত আরও ১৪৪ জন।
কিরগিজস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বাতকেন ও তাজিকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় সুগদ অঞ্চলে এ সংঘর্ষ হয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ দুটির মধ্যে এটি সর্বশেষ সহিংসতার ঘটনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুই দেশকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এর আগে কিরগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দেশটির ২৪ নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৮৭ জন। তবে হতাহত ব্যক্তিদের কতজন সামরিক বাহিনীর সদস্য এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
কিরগিজস্তান বলছে, তাজিক বাহিনী ট্যাংক, সেনা বহনকারী সাঁজোয়া যান ও মর্টার নিয়ে কিরগিজ গ্রামে ঢুকে পড়ে। বাতকেন শহরের বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় তারা গোলাবর্ষণ করে।
অন্যদিকে কিরগিজস্তান ‘ভারী অস্ত্র’ ব্যবহার করে একটি সীমান্তচৌকি ও আশপাশের গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাজিকিস্তান।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এ দুই দেশের দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে। অমীমাংসিত সীমান্ত নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে প্রায়ই এ ধরনের সংঘর্ষ হয়। গত বছরও এ রকম সংঘর্ষের জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।