কিয়েভে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত
প্রায় এক মাস পরে আবারও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ হামলার কথা জানিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল রোববার পশ্চিমের দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করে, তাহলে রাশিয়া নতুন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তারা দেশের পূর্বাঞ্চলের মূল যুদ্ধক্ষেত্র সেভেরোদোনেৎস্কে প্রতিহামলার মাধ্যমে রুশদের কাছ থেকে শহরের অর্ধেক পুনর্দখল করে নিয়েছে।
গতকাল রাতে প্রকাশিত ভিডিওতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের সবার প্রাপ্য হলো বিজয়—এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু, তা যেকোনো মূল্যে নয়।’
কিয়েভের আক্রমণে এক আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ মারা গেছেন বলে জানা যায়নি। গতকাল কিয়েভের পাশে দুটি জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, হামলায় একটি রেলগাড়ি মেরামত কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মস্কোর দাবি, তারা পূর্ব ইউরোপের দেশ থেকে পাঠানো ট্যাংক ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের রেলবিভাগের প্রধান ওলেকসান্দার কামিশিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিয়েভের পূর্বাঞ্চলে দার্নিৎসিয়া রেলগাড়ি মেরামত কারখানায় চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। তবে সেখানে কোনো সামরিক সরঞ্জাম ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।
গত মার্চে রুশ সেনারা কিয়েভ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল দখলে নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেন। গতকালের হামলায় প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসা কিয়েভের জীবনযাত্রা আবারো ব্যাহত হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তা হলো, যত বেশি সম্ভব মানুষকে হত্যা করা।’
ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এগুলো কিয়েভ থেকে বেশ দূরে, কাস্পিয়ান সাগরে থাকা বোমারু বিমান থেকে ছোড়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে মধ্যমপাল্লার এইচআইএমএআরএস রকেট ব্যবস্থা সরবরাহ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের ভেতরে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা না করার শর্তে ইউক্রেনকে এসব অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র।