কোপেনহেগেনে বন্দুকধারীর গুলিবর্ষণকে সন্ত্রাসী হামলা মনে করছে না পুলিশ
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে আজ রোববার এক বন্দুকধারী একটি শপিংমলে আগত লোকজনের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা এবং আরও চারজনকে আহত করার ঘটনাটির পেছনে সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য দেখছে না পুলিশ। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে আজ সোমবার এমনটি জানানো হয়।
কোপেনহেগেনের পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে একটি রাইফেল ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বয়স ২২ বছর। এই যুবকের মানসিক সমস্যা ছিল এবং এ আক্রমণের পেছনে কোনো ‘সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য’ থাকার আভাস মেলেনি। আজ রোববারই তাকে আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিচারক বলেছেন, রুদ্ধদ্বার কক্ষে মামলাটির বাকি শুনানিগুলো হবে। তিনি এই বন্দুকধারী ও নিহতদের নাম প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
নিহতদের মধ্যে দুজন ডেনমার্কের নাগরিক। তাদের দুজনেরই বয়স ১৭ বছর। আর অপর জন ৪৭ বছর বয়স্ক রুশ। আহত চার জনের মধ্যে দুজন ডেনমার্কের এবং দুজন সুইডেনের। এদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ বলছে, হামলাকারীর সঙ্গে একটি রাইফেল, একটি পিস্তল ও একটি ছুরি ছিল। দেশটির মানসিক স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সংস্থার কাছে লোকটি পরিচিত ছিল, তবে এর বেশি কিছু পুলিশ জানায়নি।
‘ফিল্ডস’ নামের বিশাল শপিং মলটিতে হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা গেলে কেনাকাটা করতে আসা লোকজনের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। অনেকেই দৌড়ে বিপণি কেন্দ্রটি থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে, অন্যরা যে যেখানে পারে লুকিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী এসে উপস্থিত হয়।
ডেনমার্কে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। সবশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। কোপেনহেগেন শহরে একই দিনে দুটি জায়গায় ২২ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি গুলিবর্ষণ করে দুজনকে হত্যা এবং ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করে। এরপর পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিজে নিহত হয়।
মাত্র এক সপ্তাহ আগেই প্রতিবেশি দেশ নরওয়েতে একটি বারে বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ২১ জন।