খালেদা জিয়ার মুক্তিকে স্বাগত জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়। গত ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি এমোন গিলমোর বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তির বিষয়ে বারবার আহ্বান জানিয়েছিলেন। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকা অবস্থায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ইইউর আশা, এবার তিনি যথাযথ চিকিৎসাসেবা পাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রচার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়ে সংস্থাটির দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
দুই বছর ৪৬ দিন পর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত ২৫ মার্চ বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে মুক্তিলাভ করেন তিনি।
এর আগের দিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর উপধারা ১-এ বিধি অনুযায়ী দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আনিসুল হক বলেন, ‘সরকার নির্বাহী আদেশে মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার বয়স ও স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পান খালেদা জিয়া। আপিলের পর তা বেড়ে ১০ বছরের সাজা হয়। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।