ঝটিকা সফর শেষে কিয়েভ ছাড়লেন বাইডেন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/02/20/1.jpg)
আকাশ পথে হামলার সাইরেনের মধ্যে আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অনির্ধারিত এই সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। এমনকি চলমান যুদ্ধে আরও সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বাইডেন। অবশেষে, কিয়েভ ছেড়েছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার তার গন্তব্যস্থল পোল্যান্ড। খবর বিবিসির।
কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেনকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। তবে এ যুদ্ধে পুতিন ব্যর্থ। প্রায় এক বছর আগে পুতিন যখন হামলা চালিয়েছিল তিনি ভেবেছিলেন ইউক্রেনীয়রা দুর্বল ও পশ্চিমারা বিভক্ত। তিনি আমাদের ছাড়িয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু, সে ভুল করে মারা গেছে।’
ইউক্রেনের ক্ষতির কথা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনকে যে মূল্য দিতে হয়েছে তা অস্বাভাবিক। বলিদান অনেক বেশি হয়েছে... আমরা জানি সামনে আরও কঠিন দিন আসছে।’
বিবিসি বলছে, এই সফরে মার্কিন নেতা ইউক্রেনের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে কিয়েভকে ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের আরও অস্ত্র সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বাইডেনের সফর নিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমাদের ভূখণ্ডে এলো। দুই দেশের সম্পর্ক স্পষ্ট করেছে এই সফর।’
বাইডেনের এই সফর কিয়েভের বিজয় হিসেবে দেখছেন জানিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলবেলা বলেন, ‘এটি ইউক্রেনীয় ও জেলেনস্কির একটি বিজয়। রাশিয়া, তোমাদের আর কেউ ভয় পাবে না।’
এদিকে, বাইডেনের সফরকে ঘিরে মধ্য কিয়েভের সেন্ট মাইকেলস গ্লোল্ডেন-ডুমড মঠের মাসনে ভিড় করেন স্থানীয়রা। কারণ, মঠটিতে গিয়েছিলেন বাইডেন।
নিরাপত্তার জন্য সোমবার সকাল থেকেই কিয়েভের বেশিরভাগ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, একজন বিশেষ অতিথি আসছেন, তাই এমনটা করা হচ্ছে। তাদের মতে, কে আসছেন তা সম্পর্কে তারা এখনও জানেন না। পরে আকস্মিকভাবে কিয়েভে হাজির হন বাইডেন।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/02/20/3.jpg)
গত বছরের, অর্থাৎ ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। এই হামলাকে বিশেষ সামরিক অভিযান বলে আখ্যা দিয়েছে মস্কো। তাদের মতে, নিরাপত্তা ও ইউক্রেনের জাতিগতদের রক্ষা করতে তারা এই অভিযান চালিয়েছে। যুদ্ধের পর থেকেই কিয়েভকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।